চিতলমারীতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা দায়ের

প্রকাশিত: ৮:৫০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২০

বিভাষ দাস, চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতি পক্ষের সাজানো মামলায় জেলে গিয়েছে এক সরকারি চাকুরীজীবি। এ খবর শুনে তার বৃদ্ধ মা স্ট্রোক করে মৃত্যুশয্যায়। প্রতিপক্ষের রোষানলে ওই পরিবারের নারী ও শিশুরা ভীতসন্তস্ত্র হয়ে পড়েছে। এসব তথ্য তুলে ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলেন করেছে অসহায় ওই পরিবারটি।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ওই চাকুরীজীবীর স্ত্রী পুতুল বড়াল জানান, তার স্বামী অনাদী বড়াল (৫১) একজন সরকারি চাকুরিজীবী। উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের গোড়া নালুয়া গ্রামের দুই কন্যা ও এক ছেলে নিয়ে তাদের বসবাস।

এলাকায় তাদের পরিবারের সুমান ও সুখ্যাতি আছে। দীর্ঘদিন তাদের গ্রামে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ রয়েছে। তার স্বামী সমাজের অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন। অপরদিকে বিরোধী পক্ষের নেতৃত্ব দেন একই গ্রামের উৎসব বৈরাগী, ভজন মজুমদার,মৃনাল হালদার ও পংকজ মজুমদার।

তারা তার স্বামীকে ঘায়েল করার জন্য একই গ্রামের মৃত- গোসাই লাল মজুমদারের বিধবা স্ত্রী স্মৃতিকণা মজুমদারকে দিয়ে তার স্বামী অনাদী বড়াল ও একই গ্রামের অর্জুন বাড়ই এর নামে সম্পূর্ণ সাজানো একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় তার স্বামী অনাদি বড়াল ও অর্জুন বড়াল বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।

ছেলের নামে মিথ্যা মামলার খবর শুনে তার শাশুড়ী চম্পা বড়াল স্ট্রোক করে মৃত্যুশয্যায়। বর্তমানে তারা প্রতিপক্ষের রোষানলে স্বপরিবারে ভীতসন্তস্ত্র হয়ে পড়েছে। তাই তিনি প্রকৃত সত্য ঘটনা উদঘাটন ও ন্যায় বিচার পেতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার মেয়ে রিনা রানী বড়াল ও শিশু পুত্র বাঁধন বড়াল।

এ ব্যাপারে উৎসব বৈরাগীর কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের জানান, যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে তাদের পিটানো হবে। এ কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।