চিতলমারীতে একমাত্র ওয়্যারম্যান দিয়ে চলছে বিটিসিএল অফিস

প্রকাশিত: ৭:৪৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০

বিভাষ দাস, চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ; বাগেরহাটের চিতলমারীতে মাত্র একজন ওয়্যারম্যান দিয়ে চলছে বিটিসিএল অফিস। লোকবলের অভাবে ব্যহত হচ্ছে নিয়মিত কার্যক্রম। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ল্যান্ডফোন গ্রাহকরা। কাংখিত সেবা না পেয়ে লাইন কেটে দিয়েছেন অনেকেই। এমওটিএন ব্যবস্থায় হাই স্পিডের ইন্টারনেট ও ল্যান্ডফোনের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা উন্নয়নের পরিকল্পনা থাকলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

মোবাইলের আধুনিকায়নের আবর্তে চাপা পড়েছে টেলিফোন। বর্তমানে গ্রাহকসংখ্যা কমে দাড়িয়েছে মাত্র ৩০ জনে। জরাজীর্ণ ভবন, জনবল স্বল্পতা, আসবাবপত্রের সংকট সব মিলিয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী লিমিটেড (বিটিসিএল) চিতলমারী ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসটি অচল হয়ে পড়ে আছে। আগের মত এখন আর লোক সমাগম হয় না এই অফিসে।

এক সময় টেলিগ্রাম, ফ্যাক্স এর কার্যক্রম ছিল, এখন আর সেটি নেই। ডিজিটাল হবার পর থেকে টেলিগ্রাম অপারেটর লাগেনা। অফিস সহকারী, কেরানী, লাইনম্যান, অপারেটিং, নিরাপত্তারক্ষী, নৈশপ্রহরী এখন সব কিছুই পরিচালনা করতেছেন অফিসে কর্মরত একামাত্র ওয়্যারম্যান জাহিদ হোসেন। বিটিসিএল অফিসটি স্থাপনের পর এ অঞ্চলের মানুষ দূর দূরান্তে পিসিওর মাধ্যমে টেলিফোনে কথাবার্তা আদান প্রদান করতেন। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেও এখানে উন্নত সেবার ছোঁয়া লাগেনি। অব্যবস্থাপনার কারনে এক সময়ের ৩৫০ গ্রাহক থেকে বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৩০ জন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে উক্ত জরাজীর্ণ ভবনের নিচ তলায় একটি রুমে চলছে অফিসের কার্যক্রম। অফিস পরিচালনার জন্য নেই কোন ভাল আসবাবপত্র। অফিসের হালচাল দেখলে মনে হয় অফিস দেখভালের দায়িত্বে কেউ নেই।

এ অফিসে কর্মরত একমাত্র ওয়্যারম্যান জাহিদ হোসেন জানান, আমি প্রায় দেড় বছর আগে এ অফিসে যোগদান করি। অফিসের এবং লাইনের সব দায়িত্ব আমার একা পালন করতে হয়। যার কারনে গ্রাহকদের সঠিক সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। মাটির নিচ দিয়ে ছড়ানো সংযোগের তার রাস্তা মেরামতসহ বিভিন্ন কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তা মেরামত করা দুরূহ হয়ে পড়ে। প্রয়োজনয়ী যন্ত্রপাতি না থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার স্থান খুঁজে পেতে সময় লেগে যায়। জনবল কম হওয়ায় একা এ সকল কাজ করতে সমস্যা হয়। জনবল ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বাড়ালে দ্রুত মেরামত কাজ সম্ভব।

বাগেরহাট বিটিসিএল অফিসের সহকারী ম্যানেজার মনোয়ার হোসেন জানান, চিতলমারী অফিসে জনবল সংকট রয়েছে। ফলে গ্রাহক সেবা ব্যহত হচ্ছে। জনবল বৃদ্ধির জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, বর্তমানে মোবাইলের ব্যবহার বাড়ার কারনে ল্যান্ড ফোনের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমেছে। আগামী জুন মাস থেকে এমওটিএন ব্যবস্থায় হাইস্পিড ইন্টারনেট ও ল্যান্ডফোনের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। যা থেকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চিতলমারীবাসী এর সুফল ভোগ করতে পারবে বলে আশা করা যাচ্ছে।