জীবননগরে নার্সকে গলা কেটে হত্য, ঘাতক স্বামী আটক

প্রকাশিত: ১১:৩১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মা ক্লিনিক এন্ড নাসিং হোমের নার্সকে গলা কেটে হত্যার ঘটনার আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত হাফিজা খাতুন (৩৫) জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের শমসের আলীর বড় মেয়ে।

শনিবার রাত ৯ টার দিকে জীবননগর পৌর শহরের কেরু আখ সেন্টারের পাশে অবস্থিত মা নার্সিং হোম এন্ড ক্লিনিকের দ্বিতীয় তলার কেবিনে কর্মরত নার্স হাফিজাকে অজ্ঞাত এক দূবৃর্ত্ত গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শ্বাসনালী কেটে পালিয়ে যায়। এ সময় নিহত হাফিজা খাতুন কেবিন থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় বাঁচার চেষ্টা করে ক্লিনিকের নিচতলার প্রধান ফটকে এসে পড়ে গেলে ঐ নার্সিং হোমের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত জীবননগর উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন, এবং জানান, পথিমধ্যেই সে মারা গেছে। হত্যার খবর পেয়ে রা‌তেই চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানাসহ (দামুড়হুদা সার্কেল)সহ জীবননগর থানার ওসি জাবীদ হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ক্লিনিকের মালিক জাকির আহম্মেদ শামীম জানান, আমি একটা বিশেষ কাজে ১০ দিন যাবৎ ঢাকায় অবস্থান করছি। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ক্লিনিকের সেবিকা বিউটি খাতুন আমাকে ফোন করে জানায়, রাত ৮টার দিকে ক্লিনিকের রিসিপসনের সামনে হঠাৎ গোঙানির শব্দ শুনতে পায়। দ্রুত সেখানে গিয়ে হাফিজা খাতুনের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করি। এ সময় অন্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।

বিউটি খাতুন শামীমকে আরও জানিয়েছেন, শনিবার সকালে হাফিজার দ্বিতীয় স্বামী কবির হোসেনের সাথে তার ঝগড়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তার স্বামী কবির হোসেন তাকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাগবির হাসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই হাফিজা খাতুনের মৃত্যু হয়। তার গলায় এবং হাতে ধারলো অস্ত্রের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে।

এদিকে মর্মান্তিক এ ঘটনার আড়াই ঘণ্টার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমানের নির্দেশে জীবননগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিহত হাফিজার ঘাতক স্বামী কবির হোসেনকে জীবননগর বাসস্ট্যান্ড থেকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তার কাছে থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আজ রবিবার সকালে আটক কবির হোসেনকে একমাত্র আসামি করে জীবননগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা সমশের আলী।