ঝিনাইদহে নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসী হামলায় একজন নিহত

প্রকাশিত: ১১:০৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : ঝিনাইদহে বরুন ঘোষ (৪২) নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় হামদহ ঘোষপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত বরুন হামদহ ঘোষপাড়া এলাকার মৃত নরেন ঘোষের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার পর বাড়ীর পাশের দোকানে চা খেতে বের হয় বরুন ঘোষ। সে সময় কয়েকজন দুর্বৃত্তরা তাকে টেনে হেঁচড়ে রাস্তার পাশে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে মারাত্বকভাবে জখম করে।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বরুনকে মৃত ঘোষণা করেন।ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দীন জানান, শহরের হামদহ এলাকার ঘোষপাড়ায় বরুন নামের এক ব্যক্তি খুন হয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যার মূল কারন এখনও জানা যায়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে পরবর্তী তথ্য জানা যাবে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে দোষিদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যদিও নিহতের বড় ভাই অরুন কুমার দাবী করছেন, আমার ছোট ভাই বরুন ঘোষ বাড়ী থেকে চা খাওয়ার জন্য রাস্তার উপর পৌঁছালে কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে তার হাত পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। আমরা নৌকার ভোট করার কারণে আমার ভাইকে কয়েকদিন ধরে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছিল।

ঝিনাইদহ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার অভিযোগ করে বলেন, ঝিনাইদহ জুড়ে চলছে সংখ্যালঘু নিধন। শুধুমাত্র নৌকার পক্ষে ভোটে কাজ করার কারনে বরুনকে হত্যা করা হলো। আমি এ হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে সংখ্যালঘু পরিবারের নিরাপত্তার জোর দাবী জানাচ্ছি।

আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী দাবী করেছেন, বরুণ নৌকার কর্মী ছিলেন। তিনি ভোটের আগে তাঁর (তাহজীব) কাছে এসে জানিয়েছিলেন, একটি বিশেষ মহল তাঁকে নৌকার ভোট না করতে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তখন তিনি তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন, নৌকার সমর্থন করলে বা শেখ হাসিনার দল করলে কোনো ভয় নেই। এরপর এই হত্যার ঘটনা ঘটল।

এদিকে রাতেই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও বিচার চেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল খালেক ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি নাসের আলম সিদ্দিকী ওরফে উজ্জ্বলের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়েছে।