চিতলমারীতে কোরবানীর পশু নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় খামারি; নেই কাঙ্খিত খদ্দের

প্রকাশিত: ২:০৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২০

বিভাষ দাস, চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারীতে গরু খামারীরা কোরবানীর হাটে গরু বিক্রি নিয়ে চরম দুঃশ্চিন্তায় ভুগছেন। করোনা পরিস্থিতির কারনে উপজেলার প্রায় ৮৬০ খামারি ও চাষিরা এবার কোরবানীর হাটের উপর ভরসা করতে পারছে না। অন্য উপায়ে তরিঘড়ি করে গরু বিক্রির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা।

বিগত বছরের মতো এবার বাড়ি বাড়ি ঘুরে গরু কেনার কোন আগ্রহ ব্যাপারীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। হাটে যে সকল গরু উঠছে তাও খদ্দেরের অভাবে বিক্রি হচ্ছে না। অপরদিকে অনলাইনের মাধ্যমে গরু বেচাকেনারর বিষয়ে গ্রামের খামারি এবং চাষীদের কোন অভিজ্ঞতা নেই। যার কারণে অনলাইনে গরু বিক্রি করার কোন সুযোগ পাচ্ছেনা তারা।

চিতলমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে জানা যায়, এ উপজেলায় ৮৬০ জন খামারি ও গোরু চাষি রয়েছে। তারা কোরবানির জন্য ১৩২৮ টি ষাঁড়, ২২০ টি বলদ, ১০০ টি গাভী, ৭০ টি ছাগল এবং ৩০ টি ভেরা পালন করেছেন। তবে বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী এর দ্বিগুণ পশু পালন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উপজেলার খড়মখালী গ্রামের নয়ন রানা, বিমল মজুমদার, প্রভাস মন্ডল, পুলক হীরাসহ কয়েকজন গরু খামারি জানায়, বিগত বছরগুলোতে এই সময় গেরু প্রায় অর্ধেক বিক্রি হয়ে যেত। কিন্তু এবছর করোনা ভাইরাসের জন্য কোন ব্যাপারি বা গৃহস্থ খদ্দের পাওয়া যাচ্ছে না। আবার গরুর খাবারের দাম বেড়েই চলেছে। গতবছর যেরকম গরু দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবছর তাঁর দাম ৮০ হাজার টাকাও হচ্ছে না। ধারদেনা করে গরুরখামার করেছি। এখন ঠিকমতো দাম না পেলে পথে বসতে হবে। ওদিক অনলাইনে গরু বেচাকেনার খবর তারা কেবল টিভিতেই দেখেছেন। এ নিয়ে তাদের সাথে কেউ কোন আলাপ আলোচনা করেনি বলেও তারা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কর্মকর্তা শেখর বিশ্বাস জানান, করোনা কালীন সময়ে পশুর হাটে আগের মতো কেনাকাটা নেই। কোরবানীর দিন যত এগিয়ে আসছে খামারীদের আশংকা ততই বেড়ে চলেছে, সঠিক দামে গরু বিক্রি হয় কি না হয় এই আতংকে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে খামারি ও চাষিরা লোকসানে পড়বেন। এদিক বিবেচনা করে আমারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পশুর হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের আসার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছি।