চিতলমারীতে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছে ১৬ মুক্তিযোদ্ধা

প্রকাশিত: ৬:১১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২১
Exif_JPEG_420

বিভাষ দাস,চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ; বাগেরহাটের চিতলমারীতে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইতে উপযুক্ত কাগজপত্র এবং সাক্ষী উপস্থাপনের অভাবে ১৬ জন তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নোটিশ বোর্ডে বাছাই কমিটির সকল সদস্যের স্বাক্ষর সম্বলিত বাদ পড়াদের নামের তালিকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে‘উপস্থাপিত সাক্ষ্য প্রমাণা দিতে তারা মুক্তিযোদ্ধানন’বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ৩০ জানুয়ারী উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে যাচাই-বাছাই কমিটিতে ছিলেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম এ সবুর, সংসদ সদস্য কর্তৃক মনোনীত সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শামসুল আলম, জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রণজিৎ কুমার বাড়ৈ ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫ টাপর্যন্ত এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলে।

মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের নির্দেশনা ও বাছাই বিধি মোতাবেক গঠিত কমিটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাছাই সম্পন্ন করেছে। তবে তালিকা থেকে বাদপড়া সকলেই মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে আপিল করতে পারবেন বলে জানানো হয়।
১৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি তালিকার যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। সেখানে ১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপযুক্ত কাগজপত্র ও সাক্ষী উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ ৪ ফেব্রুয়ারি বাছাই কমিটির সকল সদস্যদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ১৬ জন বাদ পরেছেন বলে জানানো হয়।

যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম এ সবুর জানান, ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত গেজেট ভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকার পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে নেতিবাচক নানা তথ্য যায়। অনেক মুক্তিযোদ্ধার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। যার করনে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে চিতলমারীতে ১৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে যাচাইয়ের জন্য পত্র পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বাছাই কমিটির সদস্য সচিব মোঃ মারুফুল আলম বলেন, যাচাই-বাছাই তালিকার ১৫৬ জনের মধ্যে দুইজন অনুপস্থিত ছিলেন। খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পেরেছি ওই দুই জন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। স্বচ্ছতার সাথে বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করায় তালিকা থেকে ১৬ জন বাদ পড়েছেন। বাদ পড়াদের মধ্যে একজন আনসার বাহিনীর সদস্য। কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা মিলে এ ব্যাপরে তৈরি করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে কমিটির সকল সদস্যের স্বাক্ষর সম্বলিত বাছাইয়ের প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

বাদ পড়াদের নামের তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন, বড়বাড়িয়া গ্রামের এফ এম বদর উজ্জামান (আনসার বাহিনী), একই গ্রামের মোঃ কেরামত আলী খান, একই গ্রামের আঃ হক শিকদার (মৃত), বড়গুনি গ্রামের বাবর আলী মোল্লা (মৃত), বারাশিয়া গ্রামের মোঃ নুর ইসলাম শেখ, একই গ্রামের চান মিয়া শেখ, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মোঃ তাছেন শেখ (মৃত), পরানপুর গ্রামের মোশারেফ, ঘোলা গ্রামের শেখ মোঃ ফরিদ আহম্মেদ (মৃত), পারনপুর গ্রামের মোঃ আব্দুর রশিদ, মাছুয়ারকুল গ্রামের জ্যেতিষ বসু, বাকপুর গ্রামের ছলেমান শেখ, শৈলদাহ গ্রামের ইদ্রিস শেখ, শিবপুর গ্রামের মোস্তফা শেখ (মৃত), একই গ্রামের মোঃ সরোয়ার হেসেন (মৃত) ও আড়–য়াবর্নী গ্রামের মোঃ আঃ সাত্তার খান।