নিখোঁজের ১০দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুলছাত্র লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিখোঁজের ১০দিন পর স্কুলছাত্র মইনুল ইসলামের (১৫) গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বিকালে সাতক্ষীরা শহর উপকণ্ঠের বাঁকালে আব্দুস সবুরের জয়েন্ট ব্রিকসের একটি সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে পুলিশ এই লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে।

নিহত মঈনুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পাঁচরকী গ্রামের সুরত আলীর ছেলে ও সে সাতক্ষীরার ভোকেশনাল স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র।

অপরদিকে গ্রেপ্তারকৃতের নাম হুমায়ুন কবীর (৩৬)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের ওয়াহেদ সরদারের ছেলে। নিহত মইনুল নিখোজ হওয়ার আগে সর্বশেষ ফোন আসে আটক হুমায়ুন কবীরের নাম্বার থেকে।

পাঁচরকী গ্রামের শাহীনুর রহমান জানান, তার ভাই মঈনুল ইসলাম সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণেীতে পড়াশুনা করতো। সাংসারিক অনাটন আর অভাবের কারণে পড়াশুনার ফাকে মাঝে মাঝে সে ইজিবাইক চালাতো।

গত ৩১ জুলাই বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ইজিবাইক নিয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর তার সঙ্গে শেষ কথা হয়। সারা রাত খোঁজাখুজির পর তার সন্ধান না মেলায় ঈদের দিন তার চাচা আফছার আলী সদর থানায় ২০ নং সাধারণ ডায়েরী করেন।

পুলিশ মোবাইল ট্রেকিং করে মঈনুলের কাছে শেষ ফোন দেওয়া হুমায়ুন কবিরকে সদরের আলীপুর গ্রাম থেকে গতকাল সন্ধ্যায় আটক করে। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ি সোমবার দুপুরে হুমায়ুন কবীরের শ্বশুর বাড়ি শ্রীরামপুর গ্রাম থেকে মঈনুলের ব্যবহৃত ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে শহরতলীর বাঁকালে আব্দুস সবুরের মালিকানাধীন একটি পরিত্যক্ত ইটভাটার সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে পুলিশ মঈনুলের গলিত লাশ উদ্ধার করে। বিগত দুই বছর পূর্বে এই ইট ভাটার বিপরিতে চিংড়ী ঘেরে আরেক গৃহবধুকে হত্যা করে মাটিতে পুতে রাখা হয়। ঘটনার কয়েকদিন পর পুুলিশ ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে। এলাকাটি ক্রাইম জোন হিসেবে বেশ পরিচিত।

সদর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, হুমায়ুন কবীরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মইনুলের ব্যবহৃত ইজিবাইক ও পঁচাগলা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৪/৫ জনে মিলে নৃশংস এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে লাশের ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।