অতিরিক্ত লবণ ও অনাবৃষ্টিতে মৎস্য ঘেরে মড়কসাদা সোনাখ্যাত চিংড়ি হুমকিতে

প্রকাশিত: ১:২৫ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০২১

মো:আতিয়ার রহমান, খুলনা অফিস : খুলনা সহ নদী ও খালের পানিতে লবণাক্ততা চরমভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং অনাবৃষ্টির কারণে খুলনা জেলায় অধিকাংশ মৎস্যঘেরে মড়ক লেগেছে। কার্প জাতীয়সহ সাদা মাছ মরে-পচে গেছে।

এরপর পানি সংকটের কারণে মৌসুমের চিংড়ী মাছও হুমকীর মধ্যে পড়েছে। এতে করে উপকুলিয় জেলা খুলনা পাইকগাছা,দাকপ.কয়রা মাছচাষ নির্ভর মানুষেরা চরম দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে মাছ চাষিরা।

কোন প্রতিকার করতে পারছেন না চাষীরা। অতিরিক্ত লবণাক্ততায় সাদা মাছ মরে গেছে বলে চাষীদের বক্তব্য। আর এলাকার অধিকাংশ রেকর্ডিয় খালে বাঁধ দেওয়ার কারণে পানি স্বল্পতায় চিংড়ি চাষ হুমকির মুখে। জেলার উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুধু পাইকগাছা ,কয়রা,দাকপ উপজেলায় এখানের চাষিরা বছরে ৫৮১ মেট্রিকটন বাগদা ও ২ হাজার ৬৫০ মেট্রিকটন গলদা চিংড়ি এবং বিপুল পরিমান সাদা মাছ উৎপাদন করে থাকেন। উপজেলায় ৭ হাজার ৫০০ জন মৎস্য চাষি ও ২ হাজার ৭০২ জন মৎস্যজীবি রয়েছেন।

এই চিংড়ি শিল্প ও মাছ চাষের সাথে এ অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের ভাগ্য জড়িত রয়েছে। স্থানীয় চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে এলাকার অধিকাংশ ঘেরের পানি শুকিয়ে গেছে। পাশাপাশি তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে ঘেরের পানি অতিমাত্রায় গরম হয়ে যাওয়ার ফলে মাছে মড়ক লেগেছে।

এতে চিংড়িসহ রুই-কাতলা ও অন্যান্য মাছ মারা যাচ্ছে। এমন বৈরি আবহাওয়া চলতে থাকলে এ বছর ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন চিংড়ী চাষিরা।
উপজেলার স্থানীয় সওকাত শেখ বলেন বর্তমান চাষি হতাশা প্রকাশ করে জানান, এমন বৈরি অবহাওয়া গত কয়েক বছরের মধ্যে দেখা যাইনি। এ বছর দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ার ফলে অধিকাংশ চিংড়িঘের শুকিয়ে গেছে। প্রচ- তাপদাহে ঘেরের পানি গরম হয়ে ব্যাপক হারে চিংড়িসহ অন্যান্য মাছ মারা যাচ্ছে।

এতে চরম ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন তারা, এ বছর অনাবৃষ্টি ও তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেক ঘেরে মাছ মারা যাচ্ছে। পাশাপাশি অনেক খালে বাঁধ থাকার কারণে পানি সল্পতা দেখা দিয়েছে। দ্রুত বৃষ্টি না হলে চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। এদিকে খুলনা জেলা হাজার মাছের ঘেরের সাদা মাছ সব মরে গেছে বলে চাষীরা হাহাকার করছে।