ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস‘ হুমকির মুখে কয়রা,দাকপ বেড়িবাঁধ

প্রকাশিত: ১:১৮ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০২১

আতিয়ার রহমান,খুলনা : খুলনা উপকুলি ঘুর্ণিঝড় ইয়াস‘ মোকাবেলায় খুলনা উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা রয়েছেন আতঙ্কে। কিছুদিন আগেও বেড়িবাধ ভেঙ্গে ঘর-বাড়ীসহ পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল উপকূলীয় অঞ্চলের হাজার, হাজার বাসিন্দা। আবহাওয়া অফিস সুত্রে বলছে, ঘুর্ণিঝড় ইয়াস‘ আগামি বুধবার এটা আঘাত করতে পারে। যে অবস্থানে আছে তাতে সুপার সাইক্লোন তৈরি হয়ে খুলনা বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার সম্ভবনা রয়েছে।

চালনা পানখালী এলাকার বাসিন্দা নেপাল রায় যায়যায়দিনকে বলেন, মাস দুই আগে হঠাৎ বেড়িবাধ ভেঙ্গে যায়, পানির ¯্রতে ঘর-বাড়ীসহ তরমুজ ক্ষেতগুলোতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়। আবার শুনছি ধেয়ে আসছে ঘুর্ণঝড় ইয়াস। এতে করে আমারা খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি। এই বেড়িবাধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করলে নোনা পানির থেকে মুক্ত হতে সময় লাগবে।

মৎস্য ঘের, সবজির ক্ষেত, গুরু, ছাগলসহ ঘর-বাড়ী বিলিন হওয়ার সম্ভনা রয়েছে। তাছাড়া প্রতি বছর সরকার কোটি টাকা খরচ করে বেড়িবাধ তৈরি করলেও পানির শ্রোতের কাছে তা উড়ে যায়। তাছাড়া এ সব বেড়িবাধ তৈরির জন্য যে সব ঠিকাদার কাজ করেন তারাও দ্বায়সারা বেড়িবাধ তৈরি করে চলে যায়।

দাকোপ কালাবগি এলাকার বাসিন্দা প্রান্ত বসাক বলেন, আমরা প্রতি বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করি। আমরা এর থেকে বাচতে স্থায়ি সমাধান চাই। উপকূলীয় বাসিন্দারা পানির কষ্টে থাকি, ঠিক তেমনই বছরের কয়েকটা ঘূর্ণিঝড়ে নদী ভাঙ্গনে ঘর-বাড়ী হারিয়ে যায়। মূলত জরাজির্ণ বেড়িবাধ সামান্য ¯্রতে ভেঙ্গে যাওয়ার আশাক্সকা রয়েছে।

খুলনা জেলা প্রশাসনের স্থানিয় সরকার উপঃ পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ইকবাল হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলার জন্য খুলনা জেলা প্রশাসন থেকে ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্রর ব্যাবস্থা করা হয়েছে। পাশপাশি উপকূলীয় বাসিন্দাদের গরু, ছাগল, হাসঁ, মুরগীসহ বিভিন্ন গবাদি পশু নিরাপদে রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া সার্বক্ষণিক রেস্কুই টিম থাকবে এবং জরুরী চিকিৎসা সেবার জন্য চিকিৎসকসহ মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। খাদ্য নিশ্চয়তা শুকনা খাবারে পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা রয়েছে।