নাগেশ্বরীতে বৃষ্টির মত ঝড়ছে কুয়াশা

প্রকাশিত: ১১:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে শেষ পৌষে বৃষ্টির মত ঝড়ছে কুয়াশা। দেখা মিলছে না সূর্য্যের। সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে মানুষ-পশুপাখি। সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশার কারণে মানুষের দৃষ্টি সীমানা ছিল ৪ দশমিক ৫ মিটার।

গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে দিন-রাতের বেশির ভাগ সময়। দুপুরের পর কোনো এক সময় কিছুক্ষণের জন্য সূর্য্যের দেখা মিললে এর মিষ্টি রোদের সান্নিধ্য উপভোগে দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়েন সবাই। এরপর কুয়াশার ভিরে ফের মিলিয়ে যায় সূর্য্যের আলো। তখন খরকুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টায় আগুনের কুন্ডলির চতুর্দিকে গোল হয়ে বসে পড়েন। গ্রামে গেলে হর-হামেশাই এখন এ দৃশ্য চোখে পড়ছে।

কুয়াশা ঘেরা এ শীত ঋতুর মাঝামাঝিতে প্রতিদিন সকাল আসে দেরিতে। সন্ধ্যা নামে অগ্রিম। সারা দিন বয়ে চলে হিমেল হাওয়া। এরপরেই প্রায়ই ফাঁকা হয়ে যায় শহর-গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাট। যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি ফেরে মানুষ। এরপর সারা রাত গাছের পাতা বেয়ে বৃষ্টির মত কুয়াশা ঝরে টুপ টুপ করে। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের দিনমজুররা। শীত নিবারণে নেই প্রয়োজনীয় গরম কাপড়। ঠান্ডা উপেক্ষা করে পাতলা কাপড় পড়েই সকাল সকাল জীবিকার প্রয়োজনে তারা কাজে বেরিয়ে পড়েন।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে এ উপজেলায় ছয় হাজার ১৫০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও এক হাজার ৬৫০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এক-দুইদিনের মধ্যে তা শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

কৃষিক্ষেত্রেও প্রভাব পড়েছে ঘন কুয়াশা ও শীতের। চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বীজতলা নিয়ে শংকায় পড়েছেন কৃষক। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ইরি-বোরোর বীজতলা।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, এখন প্রতিদিন তাপমাত্রা কমে আসবে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীতের তীব্রতা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এ জেলায়। এ মাসে আরও শৈত্যপ্রবাহের আশংকা রয়েছে।