কলমাকান্দা থানার চাঞ্চল্যকর মতি মেম্বার হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন প্রধান আসামী আটক

প্রকাশিত: ১:১৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানার চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস মতি মেম্বার হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন এবং উক্ত মামলার প্রধান আসামীকে আটক করেছেন র‌্যাব সদস্যরা।

র‌্যাব-১৪ ময়মনসিংহ এর উপ-পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানাধীন মূলগাঁও গ্রামের মতিউর রহমান@ মতি মেম্বার(৬২) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বাহির হয়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও সে ঘরে না ফিরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোজাখুজি করতে থাকে। পরবর্তীতে ১৯ ডিসেম্বার সকালে ভিকটিমের ছেলে বাবুল মিয়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, কে বা কাহারা তার পিতাকে হত্যা করিয়া কলমাকান্দা থানাধীন রামনাথপুর গ্রামের জনৈক লালচান এর ফসলী কাঁদা জমিতে ফেলে রেখেছেন।

উক্ত সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম মতিউর রহমান@ মতি মেম্বার এর ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পায়। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় মৃতের স্ত্রী আয়শা খাতুন(৫৬) বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১১। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উক্ত মামলার ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত আসামীদের ধরতে র‌্যাব-১৪ ছায়া তদন্ত শুরু করেন এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পূর্বের বেশ কিছু দিনের চলাফেরা এবং তার কথোপকথন পর্যালোচনা করে হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহভাজন হিসেবে কলমাকান্দাম থানার সাতপাকেরভিটা গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর পুত্র মোঃ জিলানী(৩২) কে চিহ্নিত করা হয়।

ঘটনার দিন থেকে জিলানী পলাতক থাকে যা সন্দেহকে আরও দৃঢ় করে। জিলানীকে আটক করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়। প্রথমে সে গাজীপুরে কিছুদিন আতœগোপনে থাকলেও পরবর্তীতে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানা এলাকায় আতœগোপনে থাকা অবস্থায় দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে গত ১ জানুয়ারি রাতে অভিযান পরিচালনা করে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানাধীন শেরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।

উল্লেখ্য যে, উক্ত মামলায় তদন্তপ্রাপ্ত অপর আসামী সাজু খান ইতোমধ্যে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানব্দীতে বর্ণিত আসামী মোঃ জিলানী উক্ত মামলার ঘটনায় মূল আসামী হিসেবে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছেন।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।