আত্রাইয়ে নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বসিত পথশিশুরাও

প্রকাশিত: ১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২৪

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নতুন বই মানে আনন্দ, নতুন অনুপ্রেরণা। নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বসিত নওগাঁর আত্রাইয়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছায়াপথ পথশিশু বিদ্যানিকেতনের খুদে শিক্ষার্থীরা। তাদের উচ্ছ্ববাসই যেন বলে দিচ্ছে নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুন বই হাতে পেয়ে কতটা আনন্দিত তারা।

২০১৭ সালের জুলাই থেকে পথচলা সমাজে অধিকার ও সুবিধা বঞ্চিত ছিন্নমূল কোমলমতি পথ শিশুদের জন্য ব্যতীক্রমধর্মী প্রিয় পাঠশালা নওগাঁর আত্রাইয়ে ‘ছায়াপথ পথশিশু বিদ্যানিকেতন’। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া একদল শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীদের উদ্যোগে গড়ে তোলা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ছায়াপথ পথশিশু বিদ্যানিকেতন সুবিধা বঞ্চিত ছিন্নমূল শিশুদের আলোর পথ দেখানোর এক উদীয়মান সূর্য। এখানে পথশিশুদের অক্ষর জ্ঞান ছাড়াও নৈতিক বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসার এ কাজটি করে যাচ্ছে এই সংগঠনটি।

ছায়াপথ পথশিশু বিদ্যানিকেতনে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা নতুন বছরে নতুন পোশাক ও নতুন বই উঁচিয়ে আনন্দ আর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকে।

একসঙ্গে সব বই পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত ছায়াপথ পথশিশু বিদ্যানিকেতনের ছাত্র হাবিব। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে হাবিব জানাল, প্রতিবারের মতো এবারও পহেলা জানুয়ারি নতুন বই পেয়েছি। কি যে আনন্দ লাগছে তা বলে প্রকাশ করতে পারব না।

নতুন বই নিতে এসেছে ছায়াপথ পথশিশু বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থী সৌরভি ও তানজিল। আনন্দে আত্মহারা তাদের অভিভাবক জানালেন তার অনুভূতির কথা। তারা বললেন, আমরা তো এভাবে বই পাইনি। তাই ছেলে মেয়েদের কেন উৎসব থেকে বঞ্চিত করব। নতুন বছরের নতুন বই পাওয়ার যে আনন্দ তা হয়ত আমাদের ছেলে-মেয়েরা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবে না। কিন্তু বই পেয়ে তার যে অনুভূতি আমরা টের পাচ্ছি।

ছায়াপথ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোক্তা আমানুল্লাহ ফারুক বাচ্চু বলেন, নতুন বই শিশুদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নতুন বছরের উপহার। নতুন বই শিশুকে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করে। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ শিশুকে বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে। বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা শিশুর মনোজগতে বিস্ময় তৈরি করে। শিশুমনের এ আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আগ্রহে বই বিতরণের সূচনা। সময়ের পরিক্রমায় এটি এখন বই উৎসবে পরিণত হয়েছে।

ছায়াপথ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোক্তা ও আত্রাই বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের সহকারি অধ্যক্ষ রিমন মুরশেদ বলেন, নতুন বইয়ের গন্ধে আনন্দিত সব শিক্ষার্থী। বই পাওয়া শিশুদের পবিত্র হাসি দেখলেই বুঝা যায়, এরাই জাতির কর্ণধার, দেশের ভবিষ্যত, এক ভাস্বর জ্যোতি। এরাই একদিন আমাদের এই দেশটা পরিচালনা করবে। গড়বে জাতির জনকের সোনার বাংলাদেশ।