শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা: দুই মামলারই স্বাক্ষ্যগ্রহণ ২৯ জুন

প্রকাশিত: ১০:৩৭ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ২০০২ সালের ৩০ অগাস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এজাহার নামীয় দু’জন স্বাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

কিন্তু এসটিসি ২০৭/১৫ অস্ত্র মামলায় বৃহস্পতিবার ৪৯ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। অপর এসটিসি ২০৮/১৫ বিস্ফোরক মামলাটির দু’জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ না করে আগামী ২৯ জুন দুটি মামলায় একই স্বাক্ষী গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন। ফলে দুটি মামলার চলমান কার্যক্রম একইসঙ্গে থাকবে।

আলোচিত এই মামলা দুটি দ্রুত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ তিন মাসের মধ্যে বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোট বিভাগ।

সাতক্ষীরা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, ০১ জুন হাইকোট বিভাগ থেকে নথি সাতক্ষীরা আদালতে আসে। উভয়পক্ষকে জ্ঞাত করে বৃহস্পতিবার স্বাক্ষীর দিন ধার্য করেন আদালত। সে অনুযায়ী আজ দু’জন স্বাক্ষী ফিরোজ আহমেদ স্বপন ও শহিদুল ইসলামকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। বেলা ১২টার দিকে মামলার কার্যক্রম শুরু হলে একটি মামলার চার্জ গঠন করে অপরটি সঙ্গে সমন্বয় রেখে আগামী ২৯ জুন দুটি মামলার একইসঙ্গে একই স্বাক্ষী গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

তিনি জানান, সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালত-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মামলাটির ৫০ জন আসামির মধ্যে একজন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন, নয় জন পলাতক রয়েছেন এবং ৪০ জনকে আজ আদালতে হাজির করার পর বিজ্ঞ বিচারক এই আদেশ দেন। শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার দিন থাকায় বাড়তি পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় আদালত চত্বরে।

এসটিসি ২০৭/১৫ ও ২০৮/১৫ (অস্ত্র ও বিস্ফোরক) মামলা দুটি ২০১৭ সালে বিচারিক আদালতে চলমান অবস্থায় আসামিপক্ষের আবেদনে হাইকোর্ট স্থগিত করেন। এরপর আসামী পক্ষ এবং রাষ্ট্রপক্ষ পূর্ণ শুনানী শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসাইন মোল্যার বেঞ্চ শুনানী শেষে ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর ওই আদেশ ভ্যাকেট করেন। একইসঙ্গে তিন মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে নথি প্রেরণ পূর্বক যথাসময়ে বিচার কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু করোনাকালীন সময়ে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রায় প্রস্তুতিতে দেরি হওয়া আদেশ আসতে অনেক সময়ক্ষেপণ হয়।

ওই ঘটনায় হামলা ও ভাংচুর মামলায় গত বছরের ০৪ ফেব্রুয়ারি ৫০ জন আসামির ৫০ জনেরই সাজা প্রদান করেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এতে ১ নং আসামি সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবের ১০ বছরসহ সকল আসামির বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারে একজন মারা গেছেন ও নয় জন পলাতক রয়েছেন।