চিতলমারীতে করোনা প্রতিরোধে শেখ হেলালের ব্যাপক উদ্যোগ

প্রকাশিত: ৪:২৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২১

বিভাষ দাস, চিতলমারী (বাগেরহাট) থেকে: বাগেরহাটের চিতলমারীতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে ভ্রাম্যমান নমুনা সংগ্রহ টিম মাঠ পর্যায়ে করোনার লক্ষনজনিত রোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে।

করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য ২০ শয্যা বিশিষ্ট করোনা প্রতিরোধ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত রোগীর সুচিকিৎসার জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই সিস্টেম ও অক্সিজেন কনসেন্ট্রটর সহ ১৯টি ভিআইপি বেডের জন্য জাইকা’র ৫০ লক্ষ টাকার বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের এই সংসদ সদস্য। এছাড়া টি,আর বরাদ্দ থেকে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকাও চিতলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিয়েছেন।

দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন শুরু হলে বাগেরহাট জেলার প্রথম কোভিড আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় চিতলমারী উপজেলার পাটরপাড়া গ্রামের মো: রবিউল মোল্লা (৩৫) নামের এক মসজিদের ইমাম। পরবর্তীতে সাংবাদিক, ডাক্তার, পুলিশ, সাধারন মানুষ আক্রান্ত হলে শেখ হেলাল উদ্দীনের বিশেষ নজরদারি এবং কর্তব্যরত: ডাক্তারদের প্রচেষ্টায় উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা যায়নি। এছাড়া লকডাউন বাস্তবায়নের দিক দিয়ে উপজেলা প্রশাসন প্রসংশনীয় ভূমিকা পালন করে চলছে।

এ বিষয়ে চিতলমারী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: মামুন হাসান শনিবার (৩ জুলাই) সকালে জানান, জাইকা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছে। ওই টাকা দিয়ে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই বাবদ ৩০ লাখ এবং অক্সিজেন কনসন্ট্রটর ১৯টি ভিআইপি বেড বাবদ ২০ লাখ টাকা মূল্যের দরপত্র আহবান করা হয়েছে। ২১ জুন খুলনার মেসার্স শামীম ফার্মেসী থেকে সংসদ সদস্যের টাকা দিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর জন্য রেমডেসিভির, কার্ডিনেক্স, সেপ্টিক্সেমসহ ৩ লাখ টাকার ঔষধ ক্রয় করেছি, যে ঔষধ ১৭/১৮ জন মুমুর্ষ করোনা রোগীকে প্রয়োগ করা যাবে। বাকী টাকা দিয়ে একটি ভিআইপি বেড নির্মানের কাজ চলছে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে রোগীরা এসব উন্নত মানের সেবা পাবেন, যা অনেক জেলা শহরে পাওয়া দুস্কর। এখন পর্যন্ত এ উপজেলায় মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫৮২টি, তার মধ্যে ৯০টি পজেটিভ আছে। আমাদের বর্তমান রোগী আছে ১৪ জন, বাকীরা সুস্থ হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায় মুঠোফোনে জানান, করোনা কালীন সময়ে আমাদের প্রিয় সাংসদ সাড়ে ১৯ হাজার পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছেন। এছাড়া ডাক্তারদের সুরক্ষার জন্য ডাক্তার সেপটি জোন নির্মাণসহ ৭টি মাদ্রাসা সংলগ্ন এতিমখানায় ৬০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। এজন্য চিতলমারীবাসী এমপি সাহেবের নিকট চির কৃতজ্ঞ।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: বাবুল হোসেন খান জানান, কোভিড-১৯ সংক্রমন ছড়ানোর পর থেকে আমরা বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনের নির্দেশনায় ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামীলীগ থেকে করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি।