ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ, পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ৯:২৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।

বুধবার দুপুরে আখাউড়া উপজেলার পৌর শহরের মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা হারুন মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন, আখাউড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান, এসআই হুমায়ুন, এএসআই খোরশেদ ও কনস্টেবল প্রশান্ত এবং সৈকত।

মামলার বিবরণ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে, আখাউড়া পৌর শহরের মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা হারুনের প্রতিবেশী হাসিনা বেগম (চিকুনী বেগম) ও তার মেয়ে তানিয়া এবং তানজিনার সাথে যোগসাজোশে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। হারুন তার প্রতিবেশী হাসিনা বেগমের মাদক ব্যবসায় বাধা দিলে তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে পুলিশ সদস্যদের হারুনের পিছনে লেলিয়ে দেয়।

এর ধারাবাহিকতায় গত ২৬ মে গভীর রাতে নাটকীয়ভাবে ওই নারীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার প্ররোচনায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য হারুনের বাড়িতে প্রবেশ করে তল্লাশির নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এই সময় ক্রসফায়ার ও হত্যার ভয় দেখিয়ে ঘরে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। সেদিনই ভোর চারটার দিকে পুনরায় ওই পুলিশ সদস্যারা এসে হারুন ও তার স্ত্রীকে এক লক্ষ টাকা দাবি করে। তা না হলে তাদেরকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোর্টে চালান দেয়া হবে এবং তাতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে বলে ভয় দেখায়।

এসময় তারা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে আপস করলে হারুন ও তার স্ত্রীকে ছেড়ে দেয়। টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার সময় বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে হারুনকে ক্রসফায়ার দেয়া হবে বলে হুমকি দেন।

এই বিষয়ে মামলার বাদী হারুন মিয়া বলেন, অভিযুক্তরা এরপর থেকেই আমাকে বিভিন্ন সময় ক্রসফায়রে ভয় দেখিয়ে ধাপে ধাপে টাকা নিয়েছে। এক পর্যায়ে আর টাকা না দিতে পারার কারণে আজকে আমি বাড়ি ছাড়া। ন্যায় বিচারের আশায় আদালতে অভিযোগ দিয়েছি।

এ ব্যাপারে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) রইস উদ্দিন জানান ঘটনাটি শুনেছি আদালত মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। তবে, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে কোনো অফিসিয়ালি আদেশ পৌঁছেনি। হাতে পাওয়ার পর বলতে পারবেন বলেও জানান রইস উদ্দিন।