হালুয়াঘাটে সবুজের সমারহে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ: বাম্বার ফলনের সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২০

জোটন চন্দ্র ঘোষ,হালুয়াঘাট : ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সিমান্ত পাদদেশ ঘেঁষা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলাটি ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। উপজেলার অধিকাংশ মানুষ জীবন-জীবিকার জন্য কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই প্রতি বছরের ন্যায় উপজেলার প্রায় ৭৩ হাজার কৃষক ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বোর ধান চাষাবাদ করেছেন। প্রত্যেকটি ইউনিয়নেই মাঠ জুড়ে রয়েছে সবুজের সমারহ। ধান গাছের পরিচর্চা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, কৃষি ভান্ডার নামে খ্যাত হালুয়াঘাট উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে জুগলী, কৈচাপুর, নড়াইল, বিলডোরা, শাকুয়াই, স্বদেশী, ধারা, ধুরাইল ও আমতৈল ইউনিয়নে সবচাইতে বেশী বোর আবাদ করা হয়। যে পরিমাণ জমিতে বোর আবাদ করা হয়েছে প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ দেখা না দিলে এবং পরিবেশ অনুকুলে থাকলে এই মৌসমে বাম্বার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকরা। কিন্তু ধানের বাজার মূল্য কম ও উৎপাদন খরচ বেশী হওয়ায় বোর ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। পূর্বের তোলনায় অত্র উপজেলায় বোর চাষাবাদ কম করা হচ্ছে। সরকার অনুমোদিত সার ডিলার, ফিলিং ষ্টেশন ও জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা সরকার ঘোষিত নির্ধারিত রেটে বিক্রি করলেও প্রত্যান্ত গ্রাম অঞ্চলের খুচরা দোকানগুলিতে লিটার প্রতি ও সারের বস্তা থেকে ৪-৫ টাকা বেশি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কৃষকদের। পূর্বের তুলনায় বর্তমানে দিন মজুররাও বেশি বেতন ভাতা ও খোরাকি দাবী করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন , চলতি অর্থ বছরে বোর মৌসুমে অত্র উপজেলায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বোর ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। পরিবেশ অনুকুলে থাকলে অত্র উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী ফলন হতে পারে। উপজেলার প্রায় ৭৩ হাজার কৃষকের মধ্য থেকে ৬শত কৃষককে বোর আবাদের প্রণোদনা প্রদান করা হয়। তিনি আরও বলেন, অত্র উপজেলায় ইউরিয়া, নন ইউরিয়া সার ও পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। কৃষকদের বোর চাষাবাদে কোন রকম ঘাটতি যাতে না হয় সে জন্য সার্বক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিমের তত্ত্বাবধানে মনিটরিং সেল গঠন করে তদারকি করছেন বলেও তিনি জানান।