হালুয়াঘাটে কণকণে শীত উপেক্ষা করে বোর আবাদের ধুম

প্রকাশিত: ৬:৫৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২০

জোটন চন্দ্র ঘোষ,হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সিমান্ত পাদদেশ ঘেঁষা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কণকণে শীত ও ঠান্ডা হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে ইরি-বোর ধান আবাদের ধুম পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাক ঘুরে দেখা যায়, কৃষক-কৃষাণীরা ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে কৃষি কাজে উঠে পড়ে লেগেছে। তথাপি লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে কম বোর আবাদ হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, কৃষি ভান্ডার নামে খ্যাত হালুয়াঘাট উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে জুগলী, কৈচাপুর, নড়াইল, বিলডোরা, শাকুয়াই, স্বদেশী, ধারা, ধুরাইল ও আমতৈল ইউনিয়নে সবচাইতে বেশী বোর আবাদ করা হয়। কিন্তু ধানের বাজার মূল্য কম ও উৎপাদন খরচ বেশী হওয়ায় বোর ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা। পূর্বের তোলনায় অত্র উপজেলায় বোর চাষাবাদ কম করা হচ্ছে। সরকার অনুমোদিত সার ডিলার, ফিলিং ষ্টেশন ও জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা সরকার ঘোষিত নির্ধারিত রেটে বিক্রি করলেও প্রত্যান্ত গ্রাম অঞ্চলের খুচরা দোকানগুলিতে লিটার প্রতি ও সারের বস্তা থেকে ৪-৫ টাকা বেশি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কৃষকদের। পূর্বের তুলনায় বর্তমানে দিন মজুররাও বেশি বেতন ভাতা ও খোরাকি দাবী করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন , চলতি অর্থ বছরে বোর মৌসুমে অত্র উপজেলায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বোর ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় এবং ৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোর ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হয়। উপজেলার প্রায় ৭৩ হাজার কৃষকের মধ্য থেকে সম্প্রতি ৬শত কৃষককে বোর আবাদের প্রণোদনা প্রদান করা হয়। তিনি আরও বলেন, অত্র উপজেলায় ২৪৯৬ মেট্রিক টন রাসায়নিক সার বরাদ্দ রয়েছে এবং অদ্যবদি পর্যন্ত ৭৪৬ মেট্রিকটন রাসায়ানিক সার উত্তোলন করা হয়েছে এবং বর্তমানে ৪৫০ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে ও নন ইউরিয়া সারও পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।

কৃষকদের বোর চাষাবাদে কোন রকম ঘাটতি যাতে না হয় সে জন্য সার্বক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিমের তত্ত্বাবধানে মনিটরিং সেল গঠন করে তদারকি করছেন বলেও তিনি জানান।