ফুলপুরে তরমুজ চাষ করে আশা জাগিয়েছেন চিনের তিন যুবক

প্রকাশিত: ৩:০৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : ময়মনসিংহের ফুলপুরে তরমুজ চাষ করে আশা জাগিয়েছেন চিনের তিন যুবক। স্থানীয় কৃষকদের দু:খ ঘোচাবে এই পদ্ধতির তরমুজ চাষ দাবি তাদের।

উপজেলার সিংহেশ্বর ইউনিয়নের মধ্য সিংহেশ্বর গ্রামে প্রায় ৪ মাস আগে চীন দেশের তিন সদস্যের একটি দল এসে ১২ একর জমি ২ বছর মেয়াদে ইজারা নিয়ে উন্নতমানের তরমুজ চাষ শুরু করেন।

তরমুজ প্রকল্প পরিচালকদের একজন মি. ডিং জাং। তিনি জানান স্থানীয় রমজান আলী’র কাছ থেকে ৩০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে তরমুজ চাষের জন্য একটি প্রকল্প শুরু করেছি। গত ২০ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৫০ হাজার তরমুজের চারা রোপন করে পলিথিনে ঘেরাও দিয়ে ১৬৮ টি বড় সেড নির্মাণ করে পরিচর্যা করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিক ভাবে ৪ জাতের চারা রোপন করা হয়েছে। এই তরমুজের উপরের চামড়া হবে অনেক পাতলা। ভেতরের অংশ হবে রেড কুইন পেপের মতো। রসালো এই তরমুজ স্বাদে ভরপুর হবে।

ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ বলেন গত শুক্রবার (৭ ফেব্রæয়ারি) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ, অতিরিক্ত পরিচালক মো. আসাদুল্লাহ ও আমি প্রকল্পটি পরিদর্শন করেছি।

সরেজমিনে গিয়ে আমরা দেখতে পাই কিছু কিছু গাছে ফল ধরা শুরু হয়েছে। প্রকল্পের মালিকদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি তাদের এই চাষে ইতিমধ্যে প্রায় ৭২ লক্ষ টাকার উপর খরচ হয়েছে। প্রতিটি তরমুজ ৫০০-৭০০টাকা বিক্রির আশা করছেন তারা। তবে যদি মোটামুটি ফলন হয় খরচ বাদ দিয়ে প্রায় অনেক টাকা লাভ হতে পারে।

তিনি আরও জানান, আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সবসময় তাদের যেকোনো পরামর্শে পাশে আছি। চাইনিজরা যদি সফল হয় তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যতে এই চাষের জনপ্রিয়তা বাড়বে এবং বিভিন্ন এলাকায় এই চাষ শুরু হতে পারে।

স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, চাইনিজরা প্রতি গাছে মাত্র ২ টি করে তরমুজের কড়া রেখে বাকি কড়াগুলো তুলে ফেলে দিচ্ছেন। যাতে তরমুজগুলো অনেক বড় হয় এবং বেশি দামে বিক্রি করা যায়। বিষয়টি আমাদের শিক্ষনীয়।

ফুলপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এটা একটা ভালো উদ্যোগ তবে এ চাষ পদ্ধতি অনেকটা ব্যায়বহুল। এখানে পলিথিন সীট দিয়ে গ্রিন হাউজ সিস্টেম করে চাষ করছে। চাইনিজ জাতের তরমুজ বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক চাষ হচ্ছে। যদি এখানে স্বার্থক হয় এবং আবহাওয়া উপযোগী হয় তাহলে তরমুজ উৎপাদনে অর্থাৎ উচ্চমূলক ফসল উৎপাদনে একটা মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।