মিলছে না জ্বরের ঔষধ

প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা মহামারীর মধ্যে জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দিনাজপুরের হিলির ফার্মেসীগুলোতে মিলছে না জ্বরের ঔষধ। যদিও দুই একটি দোকানে মিলছে তাও আবার চাহিদা ভেদে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে এসব ঔষধ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের ফার্মেসী, বাজারের ফার্মেসী ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের দোকানগুলোতে মিলছে না জ্বরের ঔষধ, বেক্সিমকো গ্রুপের নাপা সিরাপ, নাপা ট্যাবলেট, নাপা এক্সটেন্ডেড, নাপা এক্সট্রা, নাপা ওয়ান ও স্কয়ার গ্রুপের এইচ প্লাস, এইচ ৫০০ সহ অন্যান্য কোম্পানির জ্বরের ঔষধ।

ঔষধ নিতে আসা মাসুদ রানা বলেন, ‘আমার মেয়ের জ্বর এসেছে। তাই ঔষধের দোকানে আসলাম। এসে শুনি দোকানে জ্বরের ঔষধই নেই। এতে আমাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।’

নাসিম আহম্মেদ বলেন, ‘সবার ঘরে ঘরে জ্বর দেখে কি কেউ ঔষধের সংকট তৈরি করলো কি না সেটা প্রশাসনকে ক্ষতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি। কারণ আমরা হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকরা মূলত আমাদের এসব ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু কিনতে গেলে তা আর পাওয়া যাচ্ছে না।’

আমিরুল ইসলাম নামের একজন অভিযোগ করে বলেন, ‘যদিও দুই একটি দোকানে ঔষধ মিলছে কিন্তু চাহিদা থাকায় তারা বেশি দামে বিক্রি করছে।’

বেক্সিমকোর হিলির রিপ্রেজেন্টিভ আলেমন হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে সবার ঘরে ঘরে জ্বর হওয়ায় উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বাড়ছে, যে কারণে বাজারে সরবরাহ কমেছে। তবে এই মাসের মধ্যে বাজারে ঔষধটির সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।’

হাকিমপুর (হিলি) ঔষধ ফার্মেসীর সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় নাপা এক্সট্রা, নাপা এক্সটেনসহ এই গ্রুপের ঔষধগুলোর সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে এতে আতংকিত হবার কিছুই নেই। খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ডা. গাদ্দাফী সিকদার বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় জ্বরের প্রকোপটা একটু বেশি। বাজারে কোন ঔষধের সরবরাহ নেই, সেটা আমি বলতে পারবো না। তবে জ্বরের সব ধরনের ঔষধ হাসপাতালে পর্যাপ্ত আছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নুর এ আলম বলেন, ‘করোনা মহামারীর এ সংকট মহূর্তে যদি কোন ঔষধ ফার্মেসীর মালিকরা সংকট তৈরি করে দাম বেশি নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দাম বেশি নিচ্ছে এমন অভিযোগ পেলে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’