অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে জেলায় উপজেলায়

প্রকাশিত: ৭:১২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির মুখে জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। পরিস্থিতির বাস্তবতায় চিকিৎসার পাশাপাশি অক্সিজেন সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যেই খুলনা, রাজশাহী, সাতক্ষীরা, ফেনীসহ অনেক জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে অক্সিজেনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা ও ফেনীর সোনাগাজীতে অক্সিজেন সংকটে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে শুধু সাতক্ষীরাতেই মারা গেছেন আটজন।

সীমান্তবর্তী জেলায় ভয়াবহ থাবা বসিয়েছে করোনা। বিশেষ করে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কয়েকটি জেলায় এটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। খুলনা বিভাগে একদিনে রেকর্ড ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অক্সিজেন পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বরিশালে ৪৭ হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ৮টিতে রয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা। তাতে সংংকট না হলেও সিলিন্ডার ব্যবস্থায় করোনা রোগীদের শুস্রুষা দেয়ার ক্ষেত্রে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।

রাজশাহী জেলার হাসপাতালগুলোতেও নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেনের ব্যবস্থা নেই। চট্টগ্রামে সরকারি হাসপাতালের পরিস্থিতি কিছুটা ভালো-এখানে অক্সিজেন সংকট নেই। এদিকে দূষণের কারণে বন্ধ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব। ফলে সেখানে করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে না।

এদিকে শুক্রবার সকালে খুলনা, রাজশাহীসহ দেশের ১২ জেলার শেষ ২৪ ঘন্টার খবর হচ্ছে, ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার দিন দেশে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৮২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, পরীক্ষা কম হওয়ায় সংক্রমণ কিছুটা কমলেও বেড়েছে শনাক্তের হার। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। সরকারি হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৬৬৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ২০ হাজার ৯১৩ জন।

রাজধানী ও আশপাশের জেলাগুলোতে সংক্রমণের গতি ঊর্ধ্বমুখী। ঢাকার হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। বেশির ভাগ হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা খালি নেই।

শেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ। রাজবাড়ীতে শনাক্তের হার ৫৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ। লালমনিরহাটে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৭৬ শতাংশ। নড়াইগলে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৭১ দশমিক ৪২ শতাংশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫৬৬টি ল্যাবে ৩২ হাজার ৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৬৬ লাখ ৪০ হাজার ৯৮২টি নমুনা। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক শূন্য ৮ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে ১০৯ জন সরকারি হাসপাতালে, ২৩ জন বেসরকারি হাসপাতালে ও ১১ জন বাড়িতে মারা যান।