সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে হাসছে পঞ্চগড়

প্রকাশিত: ১১:৩৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২১

এন এ রবিউল হাসান লিটন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি : ভোজ্য তেলের দাম বেড়েই চলছে। তেলের দামের লাগাম টানতে হলে বিকল্প তেলের ব্যবস্থা করতে হবে। তেমনি সম্ভাবনাময় একটি তেল হলো সূর্যমুখী তেল। মাঠজুড়ে হাসছে সূর্যমুখী। সবুজ মাঠে হলুদ ফুলগুলো অপরূপ সৌন্দর্যেও উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকৃতি প্রেমীরা ছুটছে প্রকৃতির রুপ ধারণ করতে।

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় এবছর প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে বলে জানি য়েছেন বোদা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আল মামুন অর রশিদ।

বোদা পৌর শহরের নাজিরপাড়া গ্রামের সূর্যমুখী ফুল চাষি রঞ্জু জানায় সে এক একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের বাগন করেছে। এখন পর্যন্ত বাগানে কোন প্রকার সমস্যা দেখা দেয়নি। আবহাওয়া ভালো থাকলে আশাকরি ভালোই লাভবাব হবো। বেংহাড়ীবনগ্রাম ইউনিয়নের সূর্যমুখী ফুল চাষি মনিরুল ইসলাম জানায় সূর্যমুখী ফুলের চাষএকটি লাভজনক ফসল। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সূর্যমুখীর বাগান করেছি। তারা সার্বক্ষণিক সহযোগীতা ও পরামর্শ দিচ্ছে। সূর্যমুখী ফুল বাগানের দু’জন চাষি ওই বলেন প্রতিদিন প্রচুর মানুষ সূর্যমুখী ফুল দেখতে আসে। তারা অনেকে বাগানে ঢুকে ছবি তুলছে। এতে অনেকে বাগানে ফুলের ক্ষতি করছে।

বোদা কৃষি অফিসের বিএস সাইদুর রহমান রঞ্জু বলেন অল্প খরচে অধিক লাভবান হচ্ছে কৃষক, তাই এ সূর্যমুখী ফুল চাষি মনিরুল ইসলাম জানায় সূর্যমুখী ফুলের চাষে আগ্রহী হচ্ছে বোদা উপজেলার কৃষকরা। আমরা সব সময় পরামর্শ দিচ্ছি কৃষকদের। আগামী বছর সূর্যমুখী ফুলের চাষ বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা করছেন।

এরিমধ্যে জেলা জুড়ে সূর্যমুখীফুলের বাগান ফুলে ফুলে ভোড়ে উঠার খবর সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে জেনে যাওয়ায় সব শ্রেণীর মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। অনেকে ছবি তুলছে ফুলের বাগানে ঢুকে। কেও আবার ফুলের গাছ হাত দিয়ে ধোওে ছবি তুলছে। এতে বিপাকে পরতে হচ্ছে বাগানের মালিকদের। ফুলের গাছ এতে নষ্ট করছে অনেকে।

সূর্যমুখী শুধু দেখতে দৃষ্টি নন্দন নয়, গুণেও অনন্য। বাংলাদেশের আবহাওয়া, পানি ও মাটি সূর্যমুখী চাষের উপযোগী। সূর্যমুখী বীজের তেল স্বাস্থ্যেও জন্য ভালো। অন্যান্য তেলবীজে যেসব ক্ষতিকারক উপাদান থাকে, সূর্যমুখীর তেলে তেমন নেই। বিশেষ করে এই তেল ক্ষতিকর কোলেস্টেরল মুক্ত। তাই দেশে তেলের ঘাটতি মেটাতে ব্যাপক ভাবে সূর্যমুখী চাষের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। ব্যাপক আবাদেও মাধ্যমে সূর্যমুখী একদিন দেশের ভোজ্য তেলের ঘাটতি মেটিয়ে বিদেশে রফতানি করা যাবে।