দেড় দশকেও দখলকৃত জমি উদ্ধার হয়নি: দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে

প্রকাশিত: ১১:৩৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০২০

আতিয়ার রহমান,খুলনা অফিস : প্রায় দেড় দশক পর জমির সীমানা নির্ধারণ হলেও জমি বা জমির মূূল্য পরিশোধে টালবাহানা করেছেন মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ফলে কলেজ কর্তৃপক্ষের দখলকৃত জমি ফেরৎ পেতে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে রহিমা খাতুন।

বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তৎকালিন বাগেরহাট সদর আসনের সংসদ সদস্য ভুক্তভোগীর ৮৪ শতক জমি দখলে নিয়ে নিজের মায়ের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ করেন। কিন্তু বর্তমান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও জমি বা জমির মুল্য পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে রহিমা খাতুন বলেন, বিগত জোট (জামাত-বিএনপি)সরকারের সাবেক এম পি এম এ এইচ সেলিম তার মায়ের নামে কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ “মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করে” যা বর্তমানে মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ।
উক্ত কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন আমার এবং ওয়ারিশদের ক্রয়কৃত রাড়িপাড়া মৌজার ৮৪ শতক জমি হামলা মামলা ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যা বর্তমানে মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজের নামে দখল করে নেয়।

এ সময় আমার ছেলে শহিদ ডাকুয়া বাধা দিলে তাকে পুলিশ দিয়ে থানায় ধরে নিয়ে শারিরীক নির্যাতন করে এবং জমি দেওয়ার কথা স্বীকার হলে থানা থেকে ছেড়ে দেয়। আমাদের জমিতে থাকা রাইস মিল,চাতাল,মাছের ডিপো,দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঐ ভূমি দস্যুর সন্ত্রাসী বাহীনিরা ০৪/০২/২০০৫ ইং তারিখ ভেঙ্গে ফেলে পরে জমি ও মিলের টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও অদ্যাবধী জমি বা জমির কোন মূল্য পরিশোধ করে নাই । সেই থেকে বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দিয়েও আমি আমার জমি বা জমির মূল্য পাইনি এমনকি আজকাল বলে আমাকে ঘুরাচ্ছে। বিগত জোট সরকারের আমলে ঐ ভূমি দস্যুর অত্যাচারে ভিটা-মাটি ছেড়ে ভাড়া বাসায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছি।

আমাদের জমির উপর কলেজে সরকার কতৃক অর্থ বরাদ্ধে একটি দ্বিতল ভবন তৈরী হয় যা কলেজের একাডেমিক ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়াও আমাদের জমির উপর একটি ০৫(পাচ)তলা ছাত্রাবাস ভবন ও একটি একতলা ভবন নির্মান করা হয়।সেই থেকে বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দিয়েও আমি আমার জমি বা জমির মূল্য পাইনি এমনকি আজকাল বলে ঘুরাচ্ছে।

গত ১৩জুলাই উক্ত মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজের অধ্যক্ষে প্রতিনিধি গাজী আবদুল্লাহ আল মামুন ও ডাকুয়া অলিউর সহ অন্যান্য শিক্ষক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ার এর মাধ্যমে আমাদের জমির সীমানা চিহ্নিত করা হয়।জমির সীমানা চিহ্নিত হলেও কলেজ কতৃপক্ষ আমাদের জমি বা জমির মূূল্য পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েও বিভিন্ন রকম তালবাহানা করেছে ।

গত ২৯/১০/২০০৭ ইং তারিখ মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজের অধ্যাক্ষ কলেজের প্যাডে পুলিশ সুপার ,বাগেরহাট বরাবরে একটি লিখিত দেন এবং তাতে আমাদের জমি দখলের বিশদ ব্যাখ্যা দেন । অধ্যক্ষের ঐ লিখিত দেওয়ার প্রায় দেড় দশক পরও আজও জমির ফিরে পায়নি আমাদের জমি । আমি যাহাতে ভূমি দস্যুর কবল থেকে আমাদের ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি ফিরে পেতে জনবান্ধব বর্তমান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আওয়ামী লীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রসাশন ও আইন শৃংখলা বাহীনির সহযোগীতা কামনা করছি। বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন,বিষয়টি আমার জানা নাই তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।