হঠাৎ জোয়ারে দুই শতাধিক দোকানসহ প্লাবিত ১৫ গ্রাম

প্রকাশিত: ৯:৫৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২০

বিভাষ দাস,চিতলমারী : হঠাৎ জোয়ারের পানিতে বৃহস্পতিবার বিকালে প্লাবিত হয়েছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার এস.বাখেরগঞ্জ বাজারের দুই শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

এসময় চিতলমারী ও বাগেরহাট সদর উপজেলা সীমানার প্রায় ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। তাদের মতে, বিগত তিন পুরুষের (একশত বছর) সময়কালে এতো পানি বৃদ্ধি হয়নি। নদীর সাধারণ জোয়ারের পানির স্তরের তুলনায় এদিন তিন ফুটের অধিক পানি বেড়েছে। প্লাবনে ভেসে গেছে গবাদি পশুর খাবার, মাছ, ক্ষেতের সবজিসহ অন্যান্য জিনিস। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, পুকুর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সমিল, বসতবাড়ি।

সন্তোষপুর গ্রামের নিত্যানন্দ মজুমদার বলেন, ‘বিকাল তিনটার দিকে হঠাৎ করে জোয়ারের গতি বেড়ে যায়। বিগত তিন পুরুষেও আমার উঠোনে এতো জল হয়নি। উঠোন ডুবে ঘরের ভিতরেও জল উঠে যায়। বাখেরগঞ্জ বাজারে ১৯৯০ সালে নির্মিত স্লুইচ গেটে জোয়ারের জল বাধাগ্রস্থ হয়ে পানি ফুলে উঠে আশেপাশের বাজার, গ্রাম সহ গোটা এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।’ জুড়ান মন্ডল জানান, গত বছর এলাকার নদী খাল কাটায় সহজেই দ্রুত গতিতে ¯্রােত এসে চিতলমারী উপজেলার এস.বাখরগঞ্জ বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ রায়গ্রাম, শুড়িগাতী, চৌদ্দহজারী, সাড়েচারআনি, সন্তোষপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বাখেরগঞ্জ বাজারের পল্লী চিকিৎসক সেকেন্দার আলী খান জানান, প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে। অপরদিকে, বাগেরহাট সদর উপজেলার মান্দ্রা, হালিশহর, খালিশপুর, আলিপুর, নাসিরপুর গ্রাম জোয়ারে প্লাবিত হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী অতিশ অধিকারী বাপ্পানী জানান, বাখেরগঞ্জ বাজারে তার ১৬টি ঘর, একটি রাইসমিল ও তিনটি সমিল ডুবে গেছে। এতে তার প্রায় নয় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল জানান, চিতলমারী-বাগেরহাট প্রধান সড়কের উপরেও সন্তোষপুর এলাকায় পানি উঠে গেছে। গোদাড়া হতে বাখেরগঞ্জ পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডেও যতগুলো স্লইচগেট আছে, তা উন্নয়ন কাজের জন্য বন্ধ রয়েছে। এতে পানির গতি বাধাগ্রস্থ হয়ে ফুলে উঠে আশেপাশের গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। সমস্যাটি নিরসনের চেষ্টা চলছে।

চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুল আলম সন্ধ্যা সাতটার দিকে জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। আগামীদিন এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।