খুলনায় ডুমুরিয়ায় সরকারী খাল ভরাট’র অভিযোগ

প্রকাশিত: ৯:১১ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০২০

আতিয়ার রহমান,খুলনা ; মাত্র ১ বছর পূর্বে মৎস্য অধিদপ্তরের অর্থায়নে পানি সরবরাহ গতিশীল করে কৃষি আবাদ ও মাছ চাষের উন্নয়নে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ব্রাক হ্যাচারীর সামনের খালটি খনন কাজ শুরু হয়। যা এখনও শেষ হয়নি।
এমনকি খাল খননকারী ভূমিহীন সমিতি তাদের পরিপূর্ণ বিলও উত্তোলন করতে পারেনি। এরই মধ্যে ফসলি জমির মাটি কেটে অবৈধ যান লড়ি দিয়ে পরিবহনের জন্য খালের মাঝখানে আড়াআডি বাঁধ দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। রাতের আধারে একশ্রেনীর মাটি খেকো দুষ্কৃতিকারী এই বেআইনী কাজ শুরু করেছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রধানমন্ত্রী যেখানে বার বার ঘোষণা দিচ্ছেন ফসলী জমির মাটি কেটে নগরায়ন ও শিল্পাযন করা যাবে না। কিন্তু একশ্রেনীর অর্থলোভী ব্যক্তি জমির মালিকদের মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় সরবরাহ করছে। এমনই একচক্রের প্রধান এনামুল শেখ গুটুদিয়ার ভেলকামারী বিলের ব্র্যাক হ্যাচারীর সামনের খালের একটি অংশে খালের পাশের ভেড়ি দেয়া মাটি কেটে ভরাট করছে। তারা সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে ট্রাক চলাচলের পথ তৈরি করেছে।

স্থানীয় বিষয়টি দেখতে পেয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসার ও নির্বাহি অফিসারকে অবহিত করে ভরাট বন্ধ করে দেয়। কিন্তু রাতের আধারে স্কেভেটর দিয়ে ওই খালটির ৭৫ ভাগ অংশ ভরাট করে ফেলে। তারা মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট অনুমতি চেয়ে একটি আবেদন করলে উপলো নির্বাহি অফিসার পানি উন্নয়ন বোর্ডেও এসডিই ( সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার) ডুমুরিয়াকে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেন।

এনামুল শেখ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রনাধীন ব্লু- গোল্ড প্রকল্পের ডব্লিউএমজির(ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ) সভাপতি হওয়ার সুবাধে ডুমুরিয়া এলাকার খননকৃত খাল নদীর মাটি রাতের আধারে বিক্রি করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া খাল বা নদী খননের সময়ে অবৈধদখলদারদেও বহাল রেখে খালের গতি পরিবর্তন করে খনন করেছে।

এনামুল শেখ বলেন, আমি গুটুদিয়ার জনৈক আব্দুল মজিদ তরফদারের জমির মাটি কিনেছি। সেই মাটি সহজে নিতে খালের উপরে একটি অস্থায়ী বাঁধ দিচ্ছি। পরে আবার বাঁধ অপসারন করে দেব।

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোছা: শাহানাজ বেগম এ বিষয়ে জানান এনামুল নামে জনৈক ব্যক্তি ভেলকামারী বিলের একেটি খালে মাটি দিয়ে ভরাট করে সাময়িক অনুমতি চায়। সেটি পানি উন্নয়ন বোর্ডেও এসডিই-কে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডেও এসডিই ( সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার) ডুমুরিয়া মো: মিজানুর রহমান জানান, আমি এখনও ওই চিঠি হাতে পাইনি। তিনি বলেন পানি সরবরাহের খালে বাঁধ দেয়ার জন্য অনুমতি দেয়া হবে না।