খুলনায় আম্পানের তান্ডবে নানা সংকটে কয়রার গুচ্ছ গ্রাম গুলো

প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২০

আতিয়ার রহমান,খুলনা ; খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের হায়াতখালী নদীর চরে অবস্থিত খড়িয়া মাঠবাড়ি গুচ্ছগ্রামের অধিকাংশ ঘর ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে তছনছ হয়ে গেছে। জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় গুচ্ছগ্রাম ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । বর্তমানে সেখানে জোয়ারভাটার চলমান থাকায় গুচ্ছগ্রাম ছেড়ে অন্যত্রে চলে গিয়ে অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছে।
বসবাসের উপযোগী হিসাবে গড়ে তোলার জন্য জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারি অধিবাসিরা।শুধু মঠবাড়ি নয় আম্ফানে তান্ডবে কয়রার গোবরা ও শেওড়া আশ্রয়নকেন্দ্র গুচ্ছগ্রাম ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়রা উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে কয়রা উপজেলার মহারাজপুর,কয়রা সদর, উত্তর বেদকাশি ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ২১ টি পয়েন্টের পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়।

এতে এখনও প্রায় ৪১ হাজার পরিবার লোনা পানির নিচে। আশ্রয়কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ উচু জায়গায় বসবাস করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। আম্ফানের তান্ডবে কয়রা উপজেলায় ১ বছর পুর্বে নির্মিত আশ্রয়ন ও গুচ্ছগ্রাম ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাথা গোজার ঠাই না পাওয়া মানুষগুলো গুচ্ছগ্রামে আশ্রয় পেলেও আম্ফানে আঘাতে তাদের সেই মাথা গোজার জায়গা টুকু তছনছ করে দেওয়ায় অনেকেই দির্ঘ নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা যাচ্ছে।
খড়িয়া মাঠবাড়ি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা ইপিকা মন্ডল ও মোঃ ফারুক হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, আম্ফানের আঘাতে তাদের গুচ্ছগ্রামে জোয়ারভাটা অব্যাহত রয়েছে। ঝড়ের তান্ডবে অনেক ঘড়বাড়ি,পায়খানা,বিধস্থ হয়েছে। এ ছাড়া পানির আধার টিউবয়েলগুরো নষ্ট হয়ে গেছে।

জোয়ারের সময় পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে ঘড়বাড়ি সেখানে বসবাস করার মতো কোন পরিবেশ নেই। রাস্তার উপর কিংবা স্কুল প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করতে হচ্ছে। অনেক পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে বলে তারা জানায়। গোবরা গুচ্ছগ্রামের বসবাসকারি শেখ কওছার বলেন, গুচ্ছগ্রামের মাল্টিপারপাস, টিউবয়েলসহ মাটির রিংবাধের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাগালী ইউনিয়নের শেওড়া গুচ্ছগ্রামে পানি প্রবেশ করায় সেখানেও ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসি।

মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্যাহ আল মামুন লাভলু যায়যায়দিনকে বলেন, প্রায় ১ বছর আগে নির্মিত সম্পুর্ণ কাজ শেষ করা খড়িয়া মাঠবাড়ি গুচ্ছগ্রামে ভুিমহীনরা শান্তিপুর্নভাবে বসবাস করছিল তারা। ঘূর্ণিঝড়েরর তান্ডবে তছনছ করে দেওয়ায় সেখানে কেউ বসবাস করতে পারছেনা। অবিলম্বে এটি পুর্ন নির্মাণ করে মানুষের বসবাসের উপযোগী করে গোড়া তোলার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিমুল কুমার সাহা বলেন, মঠবাড়ি গুচ্ছগ্রামটি পুর্ন নির্মাণ না করা হলে সেখানে বসবাস করা সম্ভব নয়। কয়রা ৩ টি গুচ্ছগ্রামের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।