হালুয়াঘাটে ১৬টি সচল চাল কলের মাধ্যমে ক্রয় করা হবে ৩,৩৯৪ মেট্রিক টন চাল

প্রকাশিত: ২:১৬ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০২০
হালুয়াঘাটে ১৬টি সচল চাল কলের মাধ্যমে ক্রয় করা হবে ৩,৩৯৪ মেট্রিক টন চাল

জোটন চন্দ্র ঘোষ,হালুয়াঘাট : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে সরকারি ভাবে বোর চাল সংগ্রহের জন্য সরকারি নির্দেশ মোতাবেক ১৬টি সচল চাল কলের অনূকুলে ৩৩৯৪ মেট্রিক টন চাল ক্রয় করার জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল ৯৬ নং স্মারকে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর প্রেরিত পত্রে উপজেলার সচল অটোমেটিক (স্বয়ংক্রিয়) ও হাসকিং রাইসমিলের পাক্ষাকিক ছাটাই ক্ষমতা উল্লেখ করে পত্র প্রেরণ করেন।

উক্ত পত্রে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলায় সচল চালকলের তালিকায় মেসার্স মাহিম অটো রাইসমিলে ২০৮০ মেট্রিক টন, মেসার্স সাথী অটো রাইসমিল ১৮৭২ মেট্রিক টন,মেসার্স শাকিল অটো রাইসমিল ২০৮০ মেট্রিকটন,মেসার্স হাছেন রাইসমিল ৪৩ মেট্রিকটন মেসার্স সুরাত উদ্দিন রাইসমিল ৫১ মেট্রিকটন, মেসার্স মদিনা রাইসমিল ৭২ মেট্রিকটন, মেসার্স দোহা রাইসমিল ৬২ মেট্রিকটন,শাওন রাইসমিল ৩৮ মেট্রিকটন, মেসার্স বেওয়া রাইসমিল ৬২ মেট্রিকটন, মেসার্স জুয়েল রাইসমিল ৮০ মেট্রিকটন,মেসার্স পাঁচতারা রাইসমিল ৫৮ মেট্রিকটন, মেসার্স ইমান রাইসমিল ৩৬ মেট্রিকটন, মেসার্স এসমা এগ্রো মিলার্স লিঃ ৮০ মেট্রিকটন, মেসার্স সরকার রাইসমিল ৪৮ মেট্রিকটন, মেসার্স জুয়েল রাইসমিল ৬৭ মেট্রিকটন ও মেসার্স মাহি অটো রাইস মিলকে ৮৬ মেট্রিকটন। সর্বমোট ৬৮১৫ মেট্রিকটন পাক্ষিক ছাটাই ক্ষমতা উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, অত্র উপজেলায় প্রায় ৩৬টি চালকল রয়েছে যার অধিকাংশ বন্ধ রয়েছে। সরেজমিনে পরির্দশন করে ১৬টি চালকল সচল থাকায় তাদের পাক্ষিক ছাটাই ক্ষমতা উল্লেখ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সচল রাইসমিলের নামে বরাদ্দ প্রদান করেছেন। একটি মহল ঈর্ষাণীত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছেন, যা মিথ্যা ,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। বন্ধ চালকলে বরাদ্দ প্রদান করা হলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিন্মমানের চাল গুদামজাত করা হয়। তাই সরকারি বিধি মোতাবেক সচল রাইসমিলে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। চলতি বোর মৌসুমে অত্র উপজেলায় ৭মে থেকে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত ৩৬ টাকা কেজি দরে ৩,৩৯৪ মেট্রিক টন চাল ১৬টি চালকলের মাধ্যমে সরকারি ভাবে ক্রয় করা হবে।