চোর অপবাদ দিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট

প্রকাশিত: ৫:০৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২০

বিভাষ দাস, চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারীতে গরু চোরের অপবাদ দিয়ে বসত বাড়ী ভাংচুর ও মালামাল লুট করেছে দূর্বৃত্তরা। সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলার কুনিয়া গ্রামে ছদর মীরের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। ছদর মীর কুনিয়া গ্রামের মৃত: নওশের আলী মীরের ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস দিয়েছেন।

সদর মীরের ছেলে হাফিজুর মীর (৩২) জানায়, মধুমতি নদীর তীরে ২২ বছর আগে জমি কিনে বসবাস করে আসছি। আমাদের জমির উপর স্থানীয় একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে সুকৌশলে দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। তারা আমাদের নামে বিভিন্ন কুৎসা রটিয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে আসছে। তারই জের ধরে গরু চুরির অপবাদ দিয়ে এদিন আমাদের বাড়ীতে হামলা চালায়। তাদের মূল উদ্দেশ্য আমাদের বসতভিটাসহ চাষের জমি দখল করা।

dainik somoy sangbad
ছদর আলীর পুত্রবধু ইতি বেগম জানায়, সোমবার সকাল ১১ টার দিকে কুনিয়া গ্রামের কুমা, হারুন, মিখাইল, মহিউদ্দীন, লিপু ও ফারদিনসহ শতাধিক লোক বাড়ীতে অতর্কিত হামলা চালায়। বাধা দিলে তারা আমাদের মারপিট করে এবং আমার জা’এর গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা করার চেষ্টা চালায়। জায়ের কোলের ছোট বাচ্চাকে ধরে দূরে ছুড়ে মারে।
dainik somoy sangbad
এ সময় তারা, হাতুড়ি, কুড়াল, সাবল ও লাঠিসোটা দিয়ে আমাদের দু’টি বসত বাড়ী ব্যাপকভাবে ভাংচুর করে। বেলকনির গ্রীল ভেঙে ঘরে ঢুকে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা, চাল, ডাল, আলু, সরিষা, গোয়ালের ৫টি গরু, ১০টি ছাগল, ১৫-১৬টি হাস ও মুরগি এবং লোহার সিন্দুক নিয়ে যায়। সিন্দুকে আনুমানিক ১০-১২ ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল। ঘরের ভিতরের টিভি, ফ্রীজ, ফ্যান, মটর সাইকেল, হাড়ি কড়াইসহ যাবতীয় ফার্নিচার ভেঙে তছনছ করে। যাবার বেলায় তারা আমাদের জামা কাপড় কেটে কুচি কুচি করে বাগানে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

dainik somoy sangbad
এ বিষয়ে কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেশকাত আহম্মেদ বলেন, এদের উপর এই অমানবিক হামলা, ঘরবাড়ী ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট অত্যন্ত দুঃখজনক। খবর পেয়ে আমি সেখানে ছুটে যাই এবং তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করি।
dainik somoy sangbad

চিতলমারী থানার ওসি মীর শরীফুল হক বলেন, খবর শুনে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ইতিমধ্যে লুট হওয়া গরুর ৩টি উদ্ধার করে ওই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চিতলমারী থানায় মামলা রুজু হয়নি।