কেসিসি’র সড়ক বন্ধ করে দেওয়াল নির্মাণ দুর্ভোগে এলাকাবাসী

প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২০

আতিয়ার রহমান, খুলনা : খুলনা নগরীর জিন্নাপাড়া এলাকায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) নিজস্ব সড়কে দেওয়াল তুলে দিয়েছেন ওই এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। ফলে সড়কটি দিয়ে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার একশ’ পরিবার। এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই দেওয়াল ভেঙে ফেলতে নোটিশ দিয়েছে কেসিসি। কিন্তু ৭ দিন অতিবাহিত হলেও এখন দেওয়াল অপসারণ করা হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে বিকল্প পথ দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকার মানুষকে।

এলাকাবাসী জানান, নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের জিন্নাপাড়া এলাকায় ১৪টি গলি রয়েছে। এর মধ্যে ১২ নম্বর গলিতে গত তিন যুগ ধরে প্রায় একশ’ পরিবার বসবাস করে। সম্প্রতি এলাকাবাসীর সুবিধার জন্য কেসিসি নিজস্ব অর্থায়নে গলির সড়ক মেরামত করেছে। গত দুই যুগ ধরে ওই সড়কের নিচ দিয়ে ওয়াসার পানির লাইন ও ওপর দিয়ে বিদ্যুতের তার রয়েছে। সম্প্রতি আবদুল গফফার সরদার নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি কেসিসির রেকর্ডভুক্ত ৬ ফুট চওড়া রাস্তার ৩ ফুট দখল করে নিজের বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে। ফলে ওই সড়কের কয়েকশ’ মানুষ তিন ফুট রাস্তা দিয়ে কোনো রকম দেওয়াল ঘেষে কষ্টের সঙ্গে চলাফেরা করতো। কিন্তু গত ১৬ ফেব্র“য়ারি রাতে বাকি ৩ ফুট সড়কের মাঝখানে দেওয়াল তুলে বন্ধ করে দিয়েছে। এতে সড়কটি দিয়ে লোক চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ার পর বিষয়টি কেসিসি মেয়রকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কেসিসির বৈষয়িক শাখার পক্ষ থেকে গত ২৫ ফেব্র“য়ারি সড়কের ওপর থেকে দেওয়াল সরিয়ে নিতে আবদুল গফ্ফার নামের ওই ব্যক্তিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও তিনি দেওয়াল সরিয়ে নেননি। ফলে মানুষ বাধ্য হয়ে বিকল্প পথ দিয়ে যাতায়াত করছে।

তবে এ ব্যাপারে আবদুল গফ্ফার দাবি করেন, আমার বাড়ির কাজের জন্য অল্প কিছু দিনের জন্য রাস্তাটি বন্ধ করেছি। এজন্য এলাকাবাসীকে নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। এলাকাবাসীর লিখিত সুপারিশ মেয়র ও কাউন্সিলরকে জমা দেওয়ার পর সাময়িকভাবে রাস্তা বন্ধ করার মৌখিক অনুমতি দিয়েছে। কাজ শেষ হলেই এ সপ্তাহের মধ্যে দেওয়াল তুলে নেব।

তবে ওই সড়কের বাসিন্দারা বলেন, আবদুল গফ্ফার আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করেই রাতের বেলা দেওয়াল তুলে দিয়েছেন। প্রায় ১৫/১৬ দিন অতিবাহিত হলেও দেওয়াল অপসারণের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। দেওয়ালের কারণে ২০০ মিটার পথ ঘুরে অন্য সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। নারী ও শিশুদের দুর্ভোগের সীমা নেই।

এ ব্যাপারে কেসিসি’র এস্টেট অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, দেওয়াল সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা এখনও দেওয়াল অপসারণ করেনি। চলতি সপ্তাহেই অভিযান চালিয়ে ওই দেওয়াল ভেঙে দেওয়া হবে।