পঞ্চগড়ের দু’টি আসনে জামানত হারালেন ৭ প্রার্থী

প্রকাশিত: ১১:০২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২৪

এন এ রবিউল হাসান লিটন, পঞ্চগড় :পঞ্চগড়ের দু’টি আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মধ্যে ৭ জনই জামানত হারিয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেলপথ মন্ত্রী এড নূরুল ইসলাম সুজন, নাঈমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তা ও দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার সাদাত সম্রাট বাদে বাকি সব প্রার্থীই হারিয়েছেন জামানত।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তা নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২১০ ভোট।

জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন, বিএসপির একতারা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ বাদশা- ১ হাজার ৩৭১ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী মশিউর রহমান বাবুল- ১ হাজার ৩৯৯ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির টেলিভিশন প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম- ১ হাজার ৪৮১ ভোট ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ছড়ি প্রতীকে প্রার্থী আব্দুল মজিদ- ৭৪৩ ভোট। এসব প্রার্থী ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় জামানত হারান।

এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৩ জন। মোট বৈধ ভোট পড়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৪৬টি। ভোট বাতিল হয়েছে ৫ হাজার ৬৩৩টি। ভোট প্রদানের হার ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

পঞ্চগড়-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেলপথ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী এড. নূরুল ইসলাম সুজন নৌকা প্রতীকে এক লাখ ৮১ হাজার ৭২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লুৎফর রহমান রিপন লাঙ্গল প্রতীকে ৭ হাজার ৬২৭ ভোট পেয়েও হারিয়েছেন জামানত। অপর প্রার্থীদের মাঝে তৃণমূল বিএনপির আব্দুল আজিজ সোনালী আঁশ প্রতীকে ৪ হাজার ৪২০ ভোট ও বিএসপির আহমাদ রেজা ফারুকী একতারা প্রতীকে ৪ হাজার ৪৭০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৯৪১ জন। মোট বৈধ ভোট পড়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ২৪০টি। ভোট বাতিল হয়েছে ৯ হাজার ১০টি। ভোট প্রদানের হার ৫৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, বিধি মোতাবেক প্রদত্ত ভোটের আটভাগের এক ভাগ বা সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। সে অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের ১২ শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় ৭জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।