হালুয়াঘাটে নবাগত শিক্ষকদের বরণ ও অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের সন্মাননা প্রদান

প্রকাশিত: ৬:০৬ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২৩
হালুয়াঘাটে নবাগত শিক্ষকদের বরণ ও অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের সন্মাননা প্রদান

জোটন চন্দ্র ঘোষ,হালুয়াঘাট : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নবাগত শিক্ষকদের বরণ ও অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের সন্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার (২৭মে) দুপুরে উপজেলা পরিষদের অডিটরিয়াম হল রুমে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি হালুয়াঘাট উপজেলা শাখার আয়োজনে নবাগত শিক্ষকদের বরণ ও অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের সন্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ আক্তার হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় নবাগত শিক্ষকদের ফুল দিয়ে বরণ ও অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের সন্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ময়মনসিংহ-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জুয়েল আরেং।

প্রধান আলোচক ছিলেন, হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র খায়রুল আলম ভূঞা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবদুর রশিদ, মোরশেদ আনোয়ার খোকন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) জিনিয়া জামান, অফিসার ইনচার্জ সুমন চন্দ্র রায়, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিনয় চন্দ্র শর্মা, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক জুয়েল, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার রতন দাস, হালুয়াঘাট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও বন্ধন ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান(কামরুল), হালুয়াঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি হালুয়াঘাট উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।

বক্তাগণ বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৩ সনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি যুদ্ধ বিদ্ধস্ত জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে প্রথমত ৩২ হাজার এবং পরবর্তীতে বাদ পড়া আরও চার হাজার একশ ষাট টি মোট ৩৬ হাজার ১৬০টি বেসরকারি প্র্থমিক বিদ্যালয় জাতীয় করণ ও কর্মরত শিক্ষকদের চাকরি সমীকরণ করেন। জাতির জনক বঙ্গুবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিভাবক হয়ে হৃদয়ে চিরস্মরণী হয়ে আছেন। ২০১৩ সনের ৯ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন, বাংলাদেশ আজ থেকে আর কোন বেসরকারি প্র্থমিক বিদ্যালয় থাকবে না। তৎকালীন সময়ে ২৬ হাজার ১৯৩ টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা হয়। তাই শিক্ষকদের যথাযথ ভাবে দ্বায়িত্ব পালন করে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করতে হবে। সংগঠনটির সাফল্য কামনা করেন।