সুপেয় পানির অভাবে দিশেহারা তারা

প্রকাশিত: ৪:৫৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক ; নানিয়ারচর বুড়িঘাটের ৯নং টিলা বা আশেপাশে নেই গভীর নলকূপ,পাহাড়ি এ এলাকায় সুপেয় পানির অভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কয়েকটি পরিবার।

রাসেল নামের এক ব‍্যক্তি জানান,বিগত কয়েকবছর যাবত আমরা পানির কষ্টে জীবন যাপন করছি,নির্বাচনে অনেক আশ্বাস /বিশ্বাস দিলেও কেউ কথা রাখেনি,নিরুপায় হয়ে আছি।আমাদের পাড়া ৯নং টিলায় কয়েকটি পরিবারের বসবাস,আমরা অনেক সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছি,সরকার চাইলে একটু মুখ ফিরিয়ে দেখতে পারে।

একটি সূত্রে জানাগেছে বিশুদ্ধ সুপেয় পানির অভাবে প্রতিবছর ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগে মারা যাচ্ছে,বাচ্চারা এমন সমস্যায় বেশি পড়ে থাকে।

এলাকার ৯নং টিলার পারুল বেগম জানান,পানির অভাব আমাদের প্রচুর পরিমানে,পাহাড়ি পথ ধরে ১ থেকে ১.৫ কিলোমিটার পায়ে হেটে খাবার পানির সংগ্রহ করতে হয়। আশেপাশে যে নলকূপ রয়েছে স‍্যালো মটর বসানোর ফলে তা আর ব‍্যবহার যোগ্য হচ্ছে না।এখন আমারা মহাবিপদের মধ‍্যে আছি।

এলাকার মুরুব্বি সুলতান জানান, এখানে আমরা কয়েকটি পরিবার বসবাস করছি , সকলে কষ্টে আছে,পাহাড়ের ছড়া থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়,অনেকসময় পানি পাওয়া যায় না।বর্তমানে শুকনো মৌসুম চলছে।

তিনি আর বলেন প্রতিদিন আমাদের পানি প্রয়োজন হচ্ছে রান্নাবান্না খাবার,গোশল ছাড়াও বিভিন্ন ধরনে কাজের জন‍্য।দূরদূরন্ত থেকে পানি সংগ্রহ করে আনা বা মজুদের ব‍্যবস্থা নেই,শুনেছি সরকার তো গভীর নলকূপ সহ পানির ট‍্যাংক দিচ্ছেন,আমাদের যদি একটা ব‍্যবস্থা হত,শুকরিয়া জানাতাম।

জনস্বাস্থ‍্য সূত্রে জানা গেছে,পানি শোধন ছাড়া পুকুরের পানি বা পাহাড়ের ছড়ার পানি খাওয়া নিরাপদ নয়, শোধনহীন এ পানি খেয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটের পীড়াসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

এবিষয়ে প্রতিবেদকে মুঠোফোনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা জানান,আমাদের হাতে বর্তমানে কোন বরাদ্দ নেই,সামনে জুনে বরাদ্দ আসলে বুড়িঘাট ৯নং টিলা এলাকাবাসির জন‍্য একটা গভীর নলকূপের ব‍্যবস্থা করে দিব।