নারী শ্রমিককে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, গ্রেফতার ৪

প্রকাশিত: ৬:২৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : কুমিল্লা ইপিজেডের একটি শিল্প কারখানার (গার্মেন্টস) এক নারী শ্রমিককে বেশি বেতনে অপর একটি কারখানায় চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে একটি চক্র। পরে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় অপহরণকারী চক্রের কবল থেকে ওই গার্মেন্টস শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়।

কুমিল্লা র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে অপহরণের চার ঘন্টার মধ্যে বুধবার গভীর রাতে নগরীর টমছমব্রিজ এলাকা থেকে ওই নারী শ্রমিককে উদ্ধার করে।

বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান কুমিল্লা র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব।

গ্রেফতারকৃত অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা হচ্ছে- কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ছনগাঁও গ্রামের আমান উল্লাহর ছেলে আবদুল মমিন (২০), নগরীর শাকতলা এলাকার মৃত মনির হোসেনের ছেলে মো. সিয়াম (১৯), সদর দক্ষিণ উপজেলার উড়াশার গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে সাইমন হাসান (১৯) ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জামিয়া গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে আরিফ হোসেন (১৯)।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, কুমিল্লা ইপিজেডের ‘কাদেনা গার্মেন্টস’ এর এক নারী শ্রমিক বুধবার (১৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে ‘হাংছিং কটন মিল’ এর আবদুল মমিন নামের শ্রমিক ওই নারী শ্রমিককে বেশি বেতনে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে অপহরণ করে। পরে তাকে ‘হাংছিং কটন মিল’ এর কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎকারের কথা বলে ইপিজেডের বাইরে একটি দোকানে নিয়ে যায় এবং সেখানে থাকা আরো কয়েকজন মিলে ওই নারী শ্রমিককে আটকে রাখে।

এসময় অপহরণকারীরা ওই নারী শ্রমিকের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তার বাবাকে ফোন করে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনা জেনে র‌্যাবের একটি দল ভিকটিমের মায়ের মাধ্যমে টাকা দেয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে অপহরণকারীদের টমছমব্রিজ এলাকায় আসার জন্য বলে। রাত ১২টার দিকে তারা ভিকটিমকে নিয়ে টমছমব্রিজ এলাকায় আসার পর র‌্যাব সদস্যরা অপহরণকারী চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা হয়েছে।