নোয়াখালীর হাতিয়ায় তলিয়ে গেছে ৪ ইউনিয়ন

প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক ; সুপার সাইক্লোন আম্পানের প্রভাবে নোয়াখালী জেলার পুরো আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও থমথমে অবস্থায় রয়েছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে হাতিয়ার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ চিড়ে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের কয়েকটি নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের শতাধিক মৎস খামারের মাছ জোয়ারের পনিতে ভেসে গেছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপকূলে বাড়তি শতর্কতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। নোয়াখালী মূল ভূখন্ডের সঙ্গে হাতিয়ার নৌ যোগাযেগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বুধবার ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি বেলা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েই চলছে।জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোজাউল করিম জানান, সুপার সাইক্লোন আম্পান এর প্রভাবে মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক ঢেউ এর সৃষ্টি হয়েছে। যার কারনে সকল প্রকার নৌ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ৯ নম্বর শতর্ক সংকেত বহাল থাকায় উপজেলার ২৪০টি সাইক্লোন সেন্টারে লোক জন আসতে শুরু করেছে।

দুর্যোগ মোকাবেলা প্রস্তুতি কমিটির ১৮৮টি ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বুধবার দুপুরের পর থেকে উপজেলার নদীর তীরবর্তী সুখচর, নলচিরা, চরঈশ্বর ও নিঝুমদ্বীপের নদীর তীরে বেড়ি বাঁধ চিড়ে ২০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দুপুর ১ টার পর থেকে এসব এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। গত বছর বর্ষার মৌসুমে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় খুব সহজেই জোয়ারের পানিতে এসব এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। প্লাবিত গ্রামগুলোর ২০ হাজার মানুষকে নিরাপর আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।