চিতলমারী সদরের নিকটেই গুরুত্বপূর্ণ মাটির তিন কাঁচা রাস্তা, মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ৮:১৩ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২২
চিতলমারী সদরের নিকটেই গুরুত্বপূর্ণ মাটির তিন কাঁচা রাস্তা মানুষের দুর্ভোগ

চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদরের সন্নিকটে অবহেলায় রয়েছে একাধিক কাঁচারাস্তা, ব্রীজ ও কালভার্ট। অথচ বিভিন্ন ধরণের উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয় এ উপজেলায়।
উপজেলা সদর হতে এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে তিনটি কাঁচা রাস্তার অবস্থা এখন মারাত্মক খারাপ। সেখানে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। ওই তিনটি সড়ক এলাকার প্রায় ১৫শ মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে যাতায়াত করে। স্থানীয় ইউপি মেম্বার সড়ক গুলোর উন্নয়ন করতে আন্তরিক থাকলেও কো নঅদৃশ্য কারণে সরকারী কোন বরাদ্দ হয়না। এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভুক্তভোগী এলাকার জনগণ।

চিতলমারী উপজেলা সদর হতে এক কিলোমিটার দুরে হিজলা ইউনিয়নের কুড়ালতলা গ্রামে সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়ালতলা এসডিএফ অফিস থেকে স্বপ্নপুর শহীদুল হকের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার, চিতলমারী-শৈলদাহ প্রধান সড়কের বোয়ালিয়া থেকে আল আমীনের বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার এবং কুড়ালতলা গাজী পাড়া কমলেশ বিশ^াসের বাড়িহতে গণেশ কির্ত্তনীয়ার বাড়ি পর্যন্তপ্রায় দেড় কিলোমিটার কাঁচারাস্তা এলাকার বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। শিক্ষার্থী, কৃষিজীবি হতে শুরু করে নানা পেশার বাসিন্দারা বছরের পর বছর এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

চরকুড়াল তলার বাসিন্দা আল আমীন, স্বপ্নপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদের,কুড়ালতলা গ্রামের বাসিন্দা ইরাবতী মজুমদার, মো. এমদাদুল ইসলাম, মো.জাবরুন শেখ, মো. সোহাগ শিকদারসহ অনেকে জানান,তাদের উৎপাদিত শাক-সব্জি, ঘেরের মাছসহ নানা ফসল নিয়ে এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।যাতায়াত করাটা খুবই কষ্টসাধ্য।বছরের পর বছর তাদের গ্রামের এক কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা পড়ে আছে। মেম্বার-চেয়ারম্যানরা ভোটের সময় আসলে উন্নয়নের নানা কথা বলেন। কিন্তু তাদের রাস্তা, কালভার্ট নিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতেহয়। এই গ্রামের মো. আব্দুল মজিদের ছেলে বাসিন্দা নাঈম শেখ শিবপুর সিরাজ নগর কওমী মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। নাঈম তার বন্ধু আউয়াল শেখ (৭ম শেণি) ও সামিউল শেখ (৮ম শ্রেণি) কর্দমাক্ত পথ মাড়িয়ে প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসায় যাচ্ছিল। তারা বলে, ‘যাতায়াতে অনেককষ্টহয়- অনেক সময় আছাড়ও খেতে হয়। তবু এই পথে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তাটা পাঁকা হলে অনেক ভাল হতো।’

দৈনিক সময় সংবাদ

চিতলমারী সদরের নিকটেই গুরুত্বপূর্ণ মাটির তিন কাঁচা রাস্তা মানুষের দুর্ভোগ


চিতলমারীর হিজলা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মেহেদী হাসান সবুজ মুন্সী ওই তিনটি রাস্তার দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে জানান,উপজেলা সদর হতে এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে প্রায় তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্য তিনটি কাঁচারাস্তা এলাকায় প্রায় ১৫শ মানুষ বসবাস করে।উপজেলায় উন্নয়ন মূলক কত কাজ হয়। অথচ এই রাস্তাগুলো উন্নয়নের জন্য কোন বরাদ্দ হয়না। এটা দুঃখ জনক। রাস্তা গুলো পাঁকা করণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

হিজলা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবু শাহীনজানান, এই ইউনিয়নে যাতায়াতের প্রধান সড়ক (কুড়ালতলা জীবনের দোকান হতে বোয়ালিয়া ফরিদ গাজীর বাড়ি পর্যন্ত) সহ ৬, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের রাস্তা গুলোর অবস্থা মারাত্মক খারাপ। জনগণের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।রাস্তা পাঁকা করণ ও সংস্কারের জন্য চিতলমারী উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে সম্প্রতি ৩১টি রাস্তারতালিকা দেয়া হয়েছে। রাস্তাগুলোর জন্য বরাদ্দ এবং যথাযথ ভাবে কাজ হলে এই দুর্ভোগ কেটে যাবে।