চিতলমারীতে পাগলী মায়ের সন্তান প্রসব, বাবার খোজ মেলেনি

প্রকাশিত: ৩:৪২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২০

বিভাষ দাস, চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারীতে এক পাগলী মায়ের পুত্র সন্তান প্রসব করেছে। থানা পুলিশ নবজাতক ও পাগলী মাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ্য রয়েছে। নবজাতক ওই শিশুর পিতার দাবী নিয়ে কেউ আসেনি বা খুজে পাওয়া যায়নি।

নবজাতক ওই পুত্র সন্তানকে গ্রহণ করতে অনেকে হাসপাতাল চত্বরে দৌড়ঝাপ চালাচ্ছে। অপরদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ নবজাতক ও পাগলী মাকে দেখার জন্য হাসপাতালে ভীড় জমাচ্ছে। বাচ্চার নিরাপত্তার জন্য হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। হাসপাতালে হিজলা গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মরিয়ম বেগম নামের এক মহিলা নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন। সমাজ সেবা অফিস থেকে মা ও শিশুর চিকিৎসা ব্যায় বহন করছে।

জানা যায়, গত ২০ জানুয়ারী সোমবার ভোরবেলা উপজেলার বাখরগঞ্জ বাজার এলাকায় এক পাগলী রাস্তার পাশে প্রসব যন্ত্রনায় ছটফট করছিল। স্থানীয় সাড়েচারানী গ্রামেরা মোঃ ফারুক খানের স্ত্রী জাহানারা বেগম তাকে উদ্ধার করে নিজ বাড়ীতে নিয়ে যান। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই পাগলী মহিলা স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। পরে চিতলমারী থানায় ৯৯৯ নাম্বারের মাধ্যকে সংবাদ গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মীর শরীফুল হক নবজাতক ও মাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিতলমারী উপজেলা স্¦াস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ মামুন হাসান জানান, বর্তমানে নবজাতক ও মা সুস্থ্য রয়েছে। মহিলা বিভাগের ১ নং বেডে তাদের পরিচর্যা ও তত্বাবধানের জন্য অতিরিক্ত নার্স নিয়োগ করা হয়েছে।

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন জানান, উপজেলায় শিশু কল্যাণ বোর্ড আছে। বোর্ড বসে সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী নবজাতকের নিরাপদ জীবনযাপনের ব্যবস্থা করবে। আর যে কেউ চাইলেই নবজাতককে নিতে পারবে না। এ ব্যপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।

চিতলমারী থানার ওসি মীর শরীফুল হক জানান, ২০ জানুয়ারি দুপুর বেলা খবর পাই বাখরগঞ্জ এলাকায় এক পাগলী মায়ের সন্তান প্রসব হয়েছে। সেখানে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে মা ও শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করি। জেনেছি, অনেকেই এই বাচ্চা গ্রহণ করার জন্য হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছে। বাচ্চা ও বাচ্চার মায়ের নিরাপত্তার জন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।