চিতলমারীতে সরকারি চাল বিতরণে অনিয়ম

প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০২২

বিভাষ দাস, চিতলমারী (বাগেরহাট)প্রতিনিধি: বাগেরহাটের চিতলমারীতে মৎস্যজীবিদের মাঝে সরকারি চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার সাবোখালী গ্রামের দোতলা ভবনের মালিক ধনাঢ্য মনি মোহন বিশ্বাস ও তার ছেলে সঞ্জয় বিশ্বাসকে চাল দেওয়া হলেও দেওয়া হয়নি একই গ্রামের দরিদ্র কার্ডধারী জেলে হতদরিদ্র সমীর বিশ্বাসকে। গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে ২০২২) চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের কার্ডধারী মৎস্যজীবিদের মাঝে চাল বিতরণের সময় এই অনিয়মের ঘটনা ঘটে।

উপজেলার সাবোখালী জেলে পল্লীর বৃদ্ধ রেবতি বিশ্বাস ও বিনয় বিশ্বাসসহ জেলে পল্লীর কয়েক জননারী-পুরুষ জানান, সরকার থেকে তাঁরা ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বরে মৎস্যজীবি কার্ড পান। সেই কার্ডধারীদের বছরে ৪-৫ বার চাল দেয়া হয়।গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে ২০২২) চিতলমারী সদর ইউনিয়নে মৎস্যজীবি কার্ডধারীদের মধ্যে জনপ্রতি ৩২ কেজি ৫০০ গ্রাম চাল বিতরণ করা হয়েছে।এদিন মোট ৫০ টি পরিবার ওই চাল পেয়েছেন।

যাঁরা চাল পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ ব্যাক্তিই ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী। সাবোখালী গ্রামের ধনাঢ্য মনিমোহন বিশ্বাস, তার ছেলে সঞ্জয় বিশ্বাস, শ্যালক অমল বিশ্বাস ও পরিতোষ বিশ্বাসচাল পেয়েছে। অথচ একই গ্রামের দরিদ্র জেলে সমীর বিশ্বাস, বাসুদেব বিশ্বাস, খোকন বিশ্বাস, শচিন বিশ্বাস, গোপাল বিশ্বাস, বাদল বিশ্বাস, সুধন বিশ্বাস ও হরেন বিশ্বাসের মত অসহায় হত দরিদ্র ব্যাক্তিরা চাল পায়নি।
দৈনিক সময় সংবাদ
চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য কৃষ্ণ পদ গাইন জানান, ওখানে আদিবাসীদের নামে একটি সমিতি রয়েছে। ওই সমিতির সভাপতি পংকজ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস। পংকজ ও মৃত্যুঞ্জয় মিলে এই অপকর্ম করেছে।

এ ব্যাপারে আদিবাসি সমিতির সভাপতি পংকজ বিশ্বস বলেন, ‘চাল দেয়ার দায়িত্ব চেয়ারম্যানের। তিনিই নাম লিষ্ট করে থাকেন। এর দায় ভার তাঁর।’
চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ মো. নিজাম উদ্দিন শেখ বলেন, ‘মৎস্যজীবিদের মধ্যে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমিও পেয়েছি। আদিবাসি সমিতি থেকে যে নামের তালিকা দিয়েছে সেই মোতাবেক চাল বিতরণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ রকম আর হবেনা।’

চিতলমারী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ জানান, বছরের নভেম্বরে মা ইলিশ সংরক্ষণে একবার ও জাটকার জন্য ৪ বার মৎস্যজীবিদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়ে থাকে। এটা অবশ্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অসহায় ও দরিদ্র জেলেরা পাবেন।