রাঙামাটিতে প্রবাসীকে অপহরণ-মুক্তিপণ আদায়ের মূলহোতা গ্রেফতার

প্রকাশিত: ৫:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙামাটির চন্দ্রঘোনা থানা এলাকার বাঙ্গাহালিয়া বাগান বাড়ি থেকে চাঞ্চল্যকর নুরুল আলম অপহরণ ও পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় আব্দুস সালাম (৬০) নামের এক একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মীরের খিল পাহাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ। তিনি ওই এলাকার নজির আহমদের ছেলে।]

গত ১৪ সেপ্টেম্বর অপহরণের ৬৩ ঘণ্টা পর পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে উদ্ধার হয়েছিল নুরুল আলম। তার বাড়ি রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নে। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে ১০ থেকে ১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে চন্দ্রঘোনা থানার ধলিয়া মুসলিম পাড়ার ‘মিম কৃষিজীবী খামারে’ ঢুকে নুরুল আলমকে (৩৫) অপহরণ করে।

চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ জানিয়েছে, ১৮ দিন আগে আব্দুস সালামসহ আরও বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে রাউজান উপজেলার বাসিন্দা নুরুল আলমকে অপহরণ করে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দেয়। ঘটনার নেপথ্য নায়ক ছিল গ্রেপ্তার আব্দুস সালাম। সালাম বাবা নামে এলাকায় পরিচিত। তার পরিকল্পনায় সংঘবদ্ধ স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী চক্র নুরুল আলমকে তার খামার বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। পরে মোটা অংকের মুক্তিপণের বিনিময়ে রাঙ্গুনিয়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

অপহরণের ঘটনায় নুরুল আলমের ভাই মো. কুতুব উদ্দিন গত ১২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে চন্দ্রঘোনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, রাঙ্গুনিয়ার দাগী সন্ত্রাসী একাধিক ডাকাতি, অপহরণ ও অস্ত্র মামলার আসামি এমদাদ এ ঘটনায় জড়িত। এমদাদ পদুয়ার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জয়নগর গ্রামের আব্দুল নবীর ছেলে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার সালাম অপহরণ ঘটনার মূল নায়ক। তার মাধ্যমেই মুক্তিপণ হিসেবে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছাড়া হয়েছে অপহৃত নুরুল আলমকে। বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে বলে জানান ওসি ইকবাল।