হু হু করে বাড়ছে পানি, বন্যার আশঙ্কা দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৭:২৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২১ নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা চার দিনের ভারি বুষ্টিপাত ও উজানের পাহারী ঢলে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিলের পানি বাড়ছে। শেখ হাসিনা ধরলা সেতু পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩০ দশমিক ০৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এ উপজেলায় ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে ধরলা, বারোমাসিয়া ও নীলকমল নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে স্বল্প মেয়াদী বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ধরলাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী হাজারও মানুষ বন্যার আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এদিকে, উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম, শিমুলবাড়ী ইউনিয়নে তিনটি ও নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমন্ডলের দুটি গ্রাম ধরলা নদীর ভাঙ্গণের কবলে পড়েছে। শত শত বিঘার ফসল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গণ দেখা দেওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার ধরলার তীরবর্তী শত শত মানুষ। উপজেলার চর মেখলি বাসিন্দা ওসমান গণি বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ধরলার ভাঙ্গণে ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। এবারও শুরুতেই উপজেলার বড়ভিটা, বুদার চর, চর মেখলি ও বড় বাসুরিয়া গ্রামে ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে। ইতিপূর্বে ভাঙ্গণে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানসহ বিভিন্ন স্থাপনা, আবাদি জমি, গাছপালা এবং শতাধিক পরিবারের বাড়ি ভিটে বিলীন হয়ে গেছে। এদিকে, ওই এলাকার বাসিন্দারা ভাঙ্গণ রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সম্প্রতি মানববন্ধনও করেছেন। রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র রায় বলেন, শুক্রবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ হালকা ও মাঝারী বৃষ্টিপাত চলমান থাকতে পারে। বড়ভিটা ইউপি চেয়ারম্যান মো. খয়বর আলী বলেন, আমরা ভাঙ্গণ রোধে অনেক বার বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেছি। এখনো কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। ভাঙ্গণের শিকার পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতারণ করা হবে। তাই তালিকা করা হচ্ছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ওমর ফারুক বলেন, ওই এলাকার ভাঙ্গণ রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে ভাঙ্গণ ঠেকাতে কাজ শুরু করা হবে। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। শুক্রবার সকালে শিমুলবাড়ী এলাকার শেখ হাসিনা ধরলা সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩০ দশমিক ০৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে ধরলার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে নদ-নদী অববাহিকায় একটি স্বল্প মেয়াদী বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাস বলেন, উপজেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়েছে। সভায় বন্যা মোকাবেলার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বন্যা কবলিত মানুষদের খোঁজখবর রাখা ও যেন আশ্রয় কেন্দ্রসহ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া যায় এ ব্যাপারে তারা কাজ করবেন বলে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। তারপরও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধরলার তীরবর্তী মানুষদের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। Share this:FacebookX Related posts: আটোয়ারীতে “বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা ও সচেতনতা” শীর্ষক সেমিনার গোবিন্দগঞ্জে লম্পট লাজু মিয়ার বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ রাণীশংকৈলে ঝুঁকিতে সেতু, থামছেই না বালু উত্তোলন রংপুরে দেশীয় চোলাই মদ পান করে চারজনের মৃত্যু বোদায় দু’শতাধিক নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ খাদ্য নিয়ে দরিদ্রদের বাড়ি-বাড়ি ছুটছেন মেয়র টুটুল রেলমন্ত্রীর নিজস্ব অর্থায়নে মাঠকর্মীদের মাঝে পিপিই বিতরণ তিস্তার পানি আবারও বিপদসীমার উপরে পঞ্চগড়ে সারের বাফার গুদামের উদ্বোধন করলেন শিল্পমন্ত্রী বিরামপুরে আবাসিক হোটেলে আটক যুবকের কারাদণ্ড, যুবতীর অর্থদণ্ড লালমনিরহাটে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গুদামে আগুন সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে হাসছে পঞ্চগড় SHARES Matched Content দেশের খবর বিষয়: পানি বন্যার আশঙ্কাবাড়ছেহু হু করে