ম্যাজিস্ট্রেট এলে দোকান বন্ধ, পরে ফের বেচাকেনা

প্রকাশিত: ৬:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বগুড়ায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সকল মার্কেট ,বিপনী বিতান বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সোমবার জেলা শহরের কোন দোকানপাট ও বিপনী বিতান বন্ধ ছিল না। ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখলেই দোকান কর্মচারীরা সংকেত দিতেই দোকানের সার্টার নামিয়ে ফেলা হচ্ছে। ভ্রাম্যমান আদালত চলে যাবার সাথে সাথে আবার চলে বেচাকেনা।

সোমবার জেলায় ৫০৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১২৭ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলায় কেউই স্বাস্থ্য বিধি মানছে না।

সোমবার সকাল ১১টায় একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে বগুড়া নিউমার্কেটে প্রবেশ করতেই দোকান বন্ধের সংকেত দেয়া হলো বাঁশি দিয়ে। সাথে সাথে সব দোকানের সার্টর বন্ধ করে দেয়া হলো।

জেলার সদর উপজেলার শহরের বাইরে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। সেখানে কারো মুখে মাস্ক নেই। পাড়া মহল্লায় খাবারের দোকানগুলো খোলা রেখে বসে খাওয়া দাওয়া চলছে।

তবে সোমবার থেকে জেলার কাঁচাবাজার, মাছ, মাংসের বাজার শহরের সার্কিটহাউজে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাজারগুলোতে তরকারিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানীর উপস্থিতি ছিল কম। শহরের শরিফ উদ্দিন মার্কেট ,আল আমিন মার্কেট ও টিএমএসএস মার্কেট ছিল নামে বন্ধ। দোকানীরা দোকানের আশপাশে অবস্থান করতে থাকে। খদ্দের দেখলে দোকানিরা খদ্দেরদের বলে ওঠে স্যার কিছু লাগবে ? কি কি লাগবে জেনে নিয়ে দ্রুত দোকান খুলে পণ্য বের করে খদ্দেরদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।

পুলিশ প্রশাসন মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোর অবস্থানে থাকলেও নানা অজুহাতে মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে আসছে। মানুষকে ঘরে রাখতে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেটদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বগুড়া সদর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিরবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. সামির হোসেন মিশু জানান, মানুষ স্বাস্থ্য বিধি না মানলে বড় ধরনের মূল্য দিতে হবে বগুড়াবাসীকে।