সংকট আর সমস্যা নিয়েই চলছে হাসপাতাল দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৮:৩৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২১ স্টাফ রিপোর্টার : শীতজনিত কারণে মেহেরপুরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বাড়তে শুরু করেছে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর চাপ। বহির্বিভাগে এখন রোগীর চাপ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগী ও আউটডোরে চিকিৎসা নেওয়া ৩৫ শতাংশই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। যতই বাড়তে শুরু করেছে শীতের সময়, ততই হাসপাতালে বাড়ছে শ্বাসজনিত রোগীর চাপ। অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, অ্যালার্জি, সর্দি-কাশি যেন আঁকড়ে ধরেছে মানুষকে। যদিও শীতের তীব্রতা এখন কম তারপরও প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। আগে দৈনিক ৩০-৪০ জন সেবা নিলেও গত কিছুদিন ধরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০-২০০ জনে। আর হাসপাতালটিতে ভর্তি থাকা রোগীর ৩৫ শতাংশই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। আর গত এক সপ্তাহে হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি হয়েছে ৯৮ জন ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে। এছাড়াও, প্রতিদিন গড়ে ৩০-৩৫ জন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি যাচ্ছে ২০-২৫ জন। বর্তমানে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১০ বেডের বিপরীতে ৩২ জন, পুরুষ ও শিশু ওয়ার্ডে ৪০ বেডের বিপরীতে ৯৮ জন মহিলা ও গাইনি ওর্য়াডে ৪০ বেডের বিপরীতে ৮৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছে। নতুন রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। তাই শীতে বাড়তি সতর্কতারও পরামর্শ চিকিৎসকদের। এদিকে, ১০০ শয্যার হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার বয়স হয়েছে প্রায় ১ যুগেরও বেশি। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল ও সরঞ্জাম এখনো পৌঁছায়নি হাসপাতালে। এতে রোগীর সংখ্যা যে হারে বাড়ছে তাতে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে, নিচের পুরুষ ওয়ার্ডটি করোনা ওয়ার্ড করায় পুরুষ রোগীদের শিফট করা হয়েছে শিশু ওয়ার্ডে এতে রোগীর চাপে পা ফেলার জায়গা নেই সেখানে। হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আশীষ কুমার দেবনাথ বলেন, কদিন আগেও হাসপাতালে রোগীর চাপ কম ছিল। কিন্তু দুয়েক দিন ধরে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আবহাওয়াজনিত কারণে মানুষরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালের কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. মাহবুবা তাজমিলা বলেন, ঠান্ডা জনিত সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, এলার্জি, একিউট ব্রঙকিউলাইটিস, নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগের প্রকোপ এখন বেশি। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মকলেছুর রহমান বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে রোগীর চাপ একটু বেশি। প্রতি বছরই এই সময়টাতে মানুষ বিভিন্ন রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। আমাদের জনবল সংকট, তারপরও চেষ্টা করছি যাতে রোগীরা সঠিক সেবা পায়। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে সিনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন, শিশু, সার্জারি, কার্ডিওলজি, জুনিয়র অর্থ সার্জারি, চক্ষু, গাইনি, এনেসথেসিয়া, প্যাথলজি, রেডিওলজি, চর্ম ও যৌন, আরএমও, রেডিওলজিস্ট, প্যাথলোজিস্ট, মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য পদে ৪২টি সৃষ্ট পদ থাকলেও আছে মাত্র ১৭ জন। ফাঁকা রয়েছে ২৫টি পদ। এদের মধ্যে ১১ জন মেডিকেল অফিসারের মধ্যে রয়েছেন মাত্র দু’জন। সংকট আর সমস্যা নিয়েই হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবা চালু রাখা হয়েছে। তবে জনবল কম থাকলেও রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্ট করছি। Share this:FacebookX Related posts: ডুমুরিয়া মান্দ্রায় মাঠ ভরাট কাজ এলাকাবাসীর অভিযোগে স্থগিত নড়াইলে ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই চিতলমারীতে কর্মহীন শ্রমজীবিদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান বেনাপোলে গৃহবন্দিদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন কুষ্টিয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত মোংলায় করোনায় কর্মহীন ৩০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছে নৌবাহিনী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যকে বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছে সেনাবাহিনী কোটচাঁদপুর-জীবননগর মহাসড়কে এক আলমসাধু চালকের রহস্যজনক মৃত্যু ইউএনও’র সাহসী পদক্ষেপে কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার পাইকগাছায় দুই কোটি টাকা আত্মাসাতের অভিযোগে র্যাক ব্যবস্থাপক আটক কেশবপুরের কৃষক-কৃষাণীদের নতুন স্বপ্ন চাষের জমি কমলেও খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ খুলনা SHARES Matched Content খুলনা বিভাগ বিষয়: চলছেসংকট আর সমস্যা নিয়েইহাসপাতাল