খুলনায় আরও এক নববধূ ধর্ষণের শিকার

প্রকাশিত: ১২:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০

নিউজ ডেস্ক :খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার হাজীগ্রাম এলাকায় সদ্য বিবাহিতা এক গৃহবধূ (১৮) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গত ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর একই এলাকায় আরও এক নববধূ ধর্ষণের শিকার হন।

পুলিশ জানায়, স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মির্জার ছেলে ডালিম সরদার (৩০) ও তার দু-তিনজন সহযোগী ওই গৃহবধূকে অপহরণের পর গণধর্ষণ করে।

দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহসানউল্লাহ চৌধুরী জানান, সেনহাটি কাটানি পাড়া এলাকার আকরাম হোসেন মিস্ত্রির সদ্যবিবাহিতা মেয়ে বেলেঘাট থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিল, পথিমধ্যে স্থানীয় বখাটে যুবক ডালিম ও তার সঙ্গীরা ভিকটিমকে পার্শ্ববর্তী মৎস্য ঘের এলাকায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণ শেষে তাকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয় এবং ঘটনা প্রকাশ না করতে হুমকি ধামকি দেয়। পরে ধর্ষিতা বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বলে এবং ওই রাতেই ভিকটিমকে দিঘলিয়া থানায় হাজির করে লিখিত অভিযোগ দেয় পরিবার।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে দিঘলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্থানীয় মির্জা মেম্বারের ছেলে ডালিম সরদারসহ অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজনের নামে মামলা করেন। মামলা নং ৯।

দিঘলিয়া থানা পুলিশ আসামি ডালিমকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর পার্শ্ববর্তী বাতিভিটা এলাকায় সদ্যবিবাহিতাকে (১৮) বাড়িওয়ালা নুরু মোড়ল (৪৫) তার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। প্রথম ঘটনার ১৭ দিনের মাথায় এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে আবারও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটল।

১৭ দিনের মাথায় দুইটি ধর্ষণ ঘটনার ঘটার প্রতিবাদে সামাজিক সংগঠন আলোর মিছিল ৩০ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় দিঘলিয়া উপজেলা চৌরাস্তা মোড়ে মানববন্ধন করে।

মানববন্ধন থেকে বক্তারা বলেন, আইনের কঠোর প্রয়োগ বাস্তবায়ন না হওয়ায় ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করেছে এবং প্রথম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আলোর মিছিলের উপদেষ্টা জি এম আকরাম, সৈয়দ জাহিদুজ্জামান, শেখ রবিউল ইসলাম রাজিব, আব্দুল্লাহ চৌধুরী, মনিরুল ইসলাম মোড়ল, কিশোর কুমার দে, হাসিবুর রহমান, মহিউদ্দিন পারভেজ, সালাউদ্দিন বাবু, আসমা হোসেন, সাদিয়া সিদ্দিকা পাপড়ি, রাসেল কবির, রাজিবুল রেজোয়ান, রেদোয়ান আহমেদ হামিম, ফিরোজ শেখ প্রমুখ।