চাঁদাবাজির ঘটনায় ৪ সাংবাদিক পরিচয়দানকারী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ৯:১৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার আশাশুনির পল্লীতে নিকাহ রেজিস্টারের কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদাদাবির অভিযোগে দুই মোটরসাইকেলসহ কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ৪ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তাদেরকে আশাশুনি উপজেলার বেউলা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার মামলা দিয়ে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বকচরা মোল্লাপাড়ার মোন্তাজ মোল্লার ছেলে আব্দুল মান্নান, একই গ্রামের আফছারউদ্দিন সরদারের ছেলে হাফিজুর রহমান, একই উপজেলার আদালতপুর চালতেতলার আবুল কাশেম সরদারের ছেলে রবিউল ইসলাম ও সাতক্ষীরা শহরের কুকরালীর মোকিম হোসেনের ছেলে মোশাররফ হোসেন আব্বাস।

আশাশুনি উপজেলার বেউলা গ্রামের ওসমান গনির ছেলে আসাদুজ্জামান সরদার জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আব্দুল মান্নান, মোশারফ হোসেন আব্বাস, হাফিজুর রহমান ও রবিউল নামের চার ব্যক্তি দু’টি মোটর সাইকেলে তার বাড়িতে যায়। এসময় তারা নিজেদেরকে এক একটি নাম নাজানা সংবাদপত্র ও অন লাইনের স্টাফ রিপোর্টার পরিচয়ে বাল্য বিবাহ দেওয়া অভিযোগে তার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা চান।

দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া ও পত্রিকায় নিউজ করার হুমকি দেন। একে করোনা তাতে বাল্য বিবাহ কেন বুড়ো বিবাহ হচ্ছে না বললে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাদেরকে বাড়িতে বসিয়ে রেখে তিনি জেলা রেজিষ্টারকে ফোন করেন। তিনি বিষয়টি থানাকে অবহিত করার কথা বলেন। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে বাক বিতন্ডাকালে স্থানীয়রা ছুঁটে এলে বেগতিক বুঝে ওই চার সাংবাদিক মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। জনগন মোটর সাইকেলের চাবি আগে থেকে তুলে নেওয়ায় বিল আড় দিয়ে ভো দৌড় দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

তবে সাতক্ষীরার বকচরা এলাকার কয়েকজন জানান, মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে আসা সাংবাদিক পরিচয়দানকারি চার চাঁদাবাজ তাদের মোটরসাইকেল ফিরে পেতে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করার উদ্যোগ নেয়। এরপর আশাশুনি থানা পুলিশের মোবাইল পেয়ে তারা রাত ৯টার দিকে বেউলা গ্রামের নিকাহ রেজিষ্টারের বাড়িতে যায়। কিছুক্ষণপর পুলিশ এসে চাঁদা দাবির অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ওই চার চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেন। জব্দ করা হয় তাদের ব্যবহৃত দু’টি মোটর সাইকেল।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবীর বলেন, এ ঘটনায় বেউলা গ্রামের নিকাহ রেজিস্টার আসাদুজ্জামান বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত চারজনের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার সকালে থানায় একটি মামলা (৫নং) দায়ের করেছেন। উপ-পরিদর্শক গাজী নুরুন্নবীকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃত দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।