ধোবাউড়ায় শর্ত ভঙ্গ করে সেচযন্ত্র স্থাপন: লাইসেন্স বাতিল চেয়ে অভিযোগ

প্রকাশিত: ১২:৫৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২০

কামরুল হাসান,ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা ঘোষগাও ইউনিয়নের কালিহরপাড়া গ্রামে সেচ যন্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে নির্ধারিত স্থানের পরিবর্তে অন্যত্রে বেআইনী ভাবে সেচযন্ত্র বসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, কালিহরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে আব্দুস সামাদকে বিগত ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ খ্রিঃ তারিখে সেচযন্ত্র ২৭৪ নং লাইসেন্স প্রদান করে ধোবাউড়া উপজেলা সেচ কমিটি। লাইসেন্সে বালিগাঁও মৌজার ৬৫৯ নং খতিয়ানের ৩০২৭ দাগে নলকূপ বসানোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সেচ গ্রাহক সামাদ অনুমোদিত দাগে সেচ না বসিয়ে একই মৌজার ৩০৯১ দাগে সেচ যন্ত্র বসিয়ে বিদ্যুতের খুটি থেকে ৩০০ ফুট দূরে অবৈধ ভাবে বিদ্যুত সংযোগ নিয়ে সেচ যন্ত্র চালু করে।

পরবর্তিতে অভিযোগের পেক্ষিতে পল্লীবিদ্যুৎ সেচ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কিছুদিন পর গ্রাহক সামাদের বাড়ীর পাশে পূর্বের স্থাপিত নলকুপে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ পূনরায় বিদ্যুত সংযোগ দিয়ে সেচটি চালু করে। সরজমিনে গিয়ে অনুমোদিত ৩০২৭ দাগে সেচ যন্ত্র বা নলকূপের কোন অস্থিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি ।

এলাকাবাসি জানায়, অবৈধ ভাবে ৩০৯১ দাগে সেচযন্ত্র বসানো জায়গাটিও সামাদের নয়, এই জায়গার মালিক এমদাদুল হক। এসময় ৩০৯১ দাগের আশেপাশে কোন বিদ্যুতের খুটি দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে গ্রাহক সামাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুমোদিত দাগে তার সেচ যন্ত্রটি বসানো হয়নি। তিনি আরও জানান, লাইসেন্স করার সময় দাগ নাম্বার ভুল হয়েছিল, সংশোধনের জন্য ইউএনও বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন।

অন্যদিকে পার্শবর্তী সেচের মালিক শহিদুল ইসলাম গত ৫ ই ফেব্রুয়ারী ২০২০ খ্রিঃ তারিখে শর্ত ভঙ্গ করে নির্ধারিত স্থানে সেচ যন্ত্র না বসানোর অভিযোগ এনে ২৭৪ নং লাইসেন্স বাতিল চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী ওয়াসিমকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। অভিযোগকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হয়েও ন্যায় বিচার পাচ্ছি না। এ ব্যাপারে প্রকৌশলী ওয়াসিম আক্রামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।