ধোবাউড়ায় ঘুষের প্রতিবাদ করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি

প্রকাশিত: ৯:৩১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০

ধোবাউড়া প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ঘুষের প্রতিবাদ করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, আজ সোমবার বিকালে উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত নাজির হাসমত উল্লাহ(সুমন) দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ধোবাউড়া সংবাদদাতা ও ধোবাউড়া প্রেসক্লাবের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক সুলতান মামুন রতনকে মানহানি মামলার হুমকী প্রদর্শন করে।

এ নিয়ে সাংবাদিক মহলে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সোমবার বিকেল আনুমানিক ৩টায় সাংবাদিক সুলতান মামুন রতন তার ভাগিনা আসাদুল ইসলামের নামজারীর বিষয়ে জানতে উপজেলা ভুমি অফিসে যান। এ সময় সাথে ছিলেন দৈনিক জনতার উপজেলা প্রতিনিধি কবির উদ্দিন। অফিসে গিয়ে প্রথমে সার্ভেয়ার সর্দার জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ফাইলটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি নাজিরের কাছে খোঁজ নিতে বলেন।

পরে পাশের রুমে নাজির হাসমত উল্লাহর কাছে গিয়ে ফাইলটির বিষয়ে জানতে চাইলে সে এ ব্যাপারে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে। দ্বিতীয়বার তার কাছে জানতে চাইলে সে এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে টেবিল চাপড়িয়ে উচ্চস্বরে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। এ সময় সাংবাদিক সুলতান মামুন নাজিরের কাছে তার দপ্তরের অধীনস্থ কর্মচারী বাকীবিল্লার মাধ্যমে ঘুষ দাবীর বিষয়টি জানতে চাইলে নাজির উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকে সুলতান মামুনের বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা করার হুমকী দেয়।

বিষয়টি নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাবেরী জালালের কাছে গেলে প্রথমে তিনি নামজারী আবেদনের নম্বর জানতে চান। নম্বর দেওয়ার পরে এক পর্যায়ে তিনিও নাজির হাসমত উল্লাহর পক্ষ নিয়ে উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিককে একটি সাদা কাগজ নিজ হাতে ভাঁজ করে অভিযোগ লিখে তা মঙ্গলবার ১১টার মধ্যে প্রমান করতে নির্দেশ দেন।

অভিযোগ রয়েছে, নাজির গ্রামের অশিক্ষিত সাধারণ মানুষের সাথে প্রায় সময় অসদাচরণ করে থাকে। ভুট্টা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য হালিম উদ্দিনের কাছ থেকে নাজির হাসমত উল্লাহ উৎকোচ নিয়েও কাজ করে দেয়নি বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ধোবাউড়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধোবাউড়া প্রেসক্লাবে জরুরী সভা চলছে।