বগুড়ায় হত্যা মামলায় দুই জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ, মে ২১, ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : চাঁদার টাকা না পেয়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মুদী ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম (৪০) হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুর বিকেল ৩ টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক হাবিবা মন্ডল এ রায় দেন। এছাড়া তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ডর আদেশ দিয়েছেন বিচারক।দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সারিয়াকান্দি উপজেলার ডোমকান্দি গ্রামের মোজ্জামেল হকের ছেলে তুহিন মিয়া (৩১) ও দৌলতজ্জামানের ছেলে সুলতান মাহামুদ (৩২)। রায় ঘোষণার পর তাদের জেলা কারাগারে নেওয়া হয়। নিহত মুদী ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ওই গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে। ডোমকান্দি গ্রামে তার একটি মুদী দোকান ছিল।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট দন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি তুহিন ও সুলতান রাত সোয়া ৮ টার দিকে ডোমকান্দি গ্রামে রফিকুলের মুদী দোকানে আসেন। সেখান থেকে তারা এক প্যাকেট সিগারেট নেওয়ার পর চাঁদা হিসেবে ৫০ টাকা দাবি করেন। রফিকুল তাদের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সিগারেটের পাওনা টাকা দাবি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তুহিন ও সুলতান দোকানের মধ্যেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে রফিকুলের পেটে ছুরিকাঘাত করেন। তার চিৎকারের শুনতে পেয়ে গ্রামবাসীরা দৌড়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যান। পরে আহত রফিকুলকে উদ্ধার করে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর রফিকুলের ভাই ছায়েদ আলী বাদী হয়ে তুহিন ও সুলতানের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে মুদী ব্যবসায়ি রফিকুল মারা যান। হত্যাচেষ্টার মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে থানা পুলিশ গ্রহণ করে। আটমাস তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৬ সালের ৩০ মে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করে। দীর্ঘ আট বছর বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে আদালত রায় দেয়।

মামলার বাদী ছায়েদ আলী বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। যারা ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের বিচার হয়েছে। উচ্চ আদালতেও যেন এই রায় বহাল থাকে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর) নাছিমুল বারী হলি বলেন, রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে।