বগুড়ায় বিপ্লব হত্যার ২ বছর পর রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৫

প্রকাশিত: ১১:০৭ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : বগুড়ায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হওয়া বিপ্লব সরকার হত্যার ২ বছর পর রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ বিভাগ। বিপ্লব হত্যার সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে সোনাতলা থানা পুলিশ সদস্যরা।
সোমবার বিকেলে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার) এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিস্তারিত জানান।

২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী সকালে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় বস্তাবন্দি বিপ্লবের মরদেহ পুলিশ সোনাতলা উপজেলার মহিশাপাড়া গ্রামের গনিজান কালভার্টের নিচ থেকে উদ্ধার করে। নিহত বিপ্লব সরকার বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া পশ্চিমপাড়ার হযরত আলীর পুত্র। বিপ্লব হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন বগুড়ার সদরের ঠনঠনিয়া পশ্চিমপাড়ার আব্দুর রউফের পুত্র রাজিব হোসেন রাজু, সদরের খান্দার এলাকার রমজান আলীর দুই পুত্র বেলাল হোসেন ও হাসান আলী, একই এলাকার আব্দুর সামাদের পুত্র আব্দুর রহমান ওরফে শুটকু ও সোনাতলা উপজেলা লক্ষীনারায়ন পাড়ার মৃত রামানাত মন্ডলের পুত্র চাতালের কর্মচারী সঞ্জয় কুমার মন্ডল।

পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, ২ বছর আগে নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীন কোন্দলে বিপ্লব সরকারকে সোনাতলা খুন করা হয়। হত্যাকারীরা ভাড়া করা প্রাইভেট কারে করে জেলার সোনাতলা উপজেলার করপুর বাজারে একটি চাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চাতালের কর্মচারী সঞ্জয়ের সহযোগীতায় ছুরিকাহত করে বিপ্লবকে হত্যা করে। হত্যার পর তার মরদেহ সোনাতলা উপজেলার নগরপাড়া মহিশাপাড়া গ্রামের গনিজান কালভাটের নিজে বস্তায় করে ফেলে যায়। এরপর হত্যাকারীদের মধ্যে রাজিব হোসেন রাজুকেপুলিশ যশোর থেকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যার পর দুই বছর যাবত রাজিব তার মামার বাড়ি যশোরে অবস্থান করা অবস্থায় প্রেম করে সে সম্প্রতি বিয়ে করে আলাদা বাসায় গোপনে অবস্থান করছিল। পরে রাজু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিপ্লব হত্যার কথা স্বীকার করে এবং তার স্বীকারোক্তি মতে বাকি হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার বিকেলে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এসময় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী ও বগুড়ার শিবগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারর কুদরত-ই-খুদা শুভ উপস্থিত ছিলেন।