সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ১:২৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক ইকবাল হোসেন (২০) হত্যা মামলায় নিহতের ভাইসহ দুই আসামিকে যাবজ্জীবন এবং অপর দুই আসামিকে ১০ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

একই সাথে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত দুই আসামির প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।

এছাড়া ১০ বছর কারাদন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকেও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড ও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এই কারাদন্ডের রায় প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার কাজীপুর উপজেলার মনসুর নগর ইউনিয়নের মাজনাবাড়ি গ্রামের সোহবার শেখের ছেলে মজনু মিয়া (৪২) ও একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে ও নিহতের বড়ভাই লাল বাবু (৪০)।

১০ বছরের কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, একই ইউনিয়নের মাজনাবাড়ি গ্রামের বছির শেখের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৮) ও ছলি ওরফে চিকাছলির ছেলে রেজাব (৩৯)।

সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউসর(পিপি) আব্দুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৩ সালে কাজীপুর উপজেলার মাজনাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিলো। এসময় ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে তার ভাই লাল বাবু, মজনু মিয়া, রবিউল, রেজাবসহ সাত-আটজন যুবক ঠিকাদারের কাছে চাঁদাদাবি করে।

ঠিকাদার চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা ছাদ ঢালাই কাজ বন্ধ করে দেয়। এ খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের ভাই শফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় লোকজনের বাঁধার মুখে ইকবাল ও তার লোকজন চলে যায়।

এরই জেরে পরের দিন ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেন লোকজন নিয়ে মাজনাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ভাই শফিকুল ইসলামের উপর হামলা চালায়।

এসময় মজনু মিয়া ডেগার দিয়ে শফিকুলকে পর পর পাঁচটি আঘাত করে। পঞ্চম আঘাত করার সময় শফিকুল সরে যাওয়ায় ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেনের বুকের ডান পাশে লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

এ ঘটনায় নিহত ইকবালের ভাই লাল বাবু বাদী হয়ে কাজীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসলে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিজেই বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষকের ভাই শফিকুলের উপর হামলাকারীদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলা চলাকালে ৩৭ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। দীর্ঘ স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে দোষি সাব্যস্ত হলে সোমবার আসামীদের বিরুদ্ধে উক্ত রায় প্রদান করেন আদালত।