ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত: ৪:৫৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া নারীর মৃত্যু হয়েছে।রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহত শামছুন্নাহার (৪৫) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা গ্রামের মৃত শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রিদিশা গার্মেন্টেস লিমিটেডের কর্মী ছিলেন।

জানা যায়, গত শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে ১০টার দিকে পোশাক কারখানায় কাজ শেষে হাইওয়ে মিনিবাসে বাসায় ফিরছিলেন শামছুন্নাহার। পথে ভালুকা মাস্টারবাড়ি এলাকায় অন্য যাত্রীরা নেমে যান। সে সময় শামছুন্নাহারকে একা পেয়ে চলন্ত বাসেই ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই মিনিবাসের চালক ও তার দুই সহকারী। প্রতিরোধের চেষ্টা করেন ওই নারী। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা প্রথমে তাকে মারধর করেন, তারপর চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেন। এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে ভালুকা থানায় ভুক্তভোগীর ভাই মোজাম্মেল বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

ঘটনার পর পরই হাইওয়ে পুলিশ বাসটি আটক করেছে। ওই রাতেই পুলিশ চালকের দুই সহকারীকে ভালুকা ও চালককে ত্রিশাল থেকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন- টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার মুশুর্দ্দি কুমারপাড়ার গ্রামের বাসিন্দা বাসচালক রাকিব (২১), ত্রিশাল উপজেলার রায়মনি গ্রামের বাসিন্দা চালকের সহকারী আরিফ (২০) ও ত্রিশালের কাশিগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা বাসের সুপারভাইজার আনন্দ দাস (১৯)। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া শামছুন্নাহার মাথায় গুরুতর আঘাত পান। পরে স্থানীয়রা তাকে প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শনিবার ভোরে মমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।