ধোবাউড়ায় সমস্যায় জর্জরিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

প্রকাশিত: ২:১১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২০

ধোবাউড়া প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ৫০ শর্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি দীর্ঘদিন যাবৎ নানা সমস্যায় জর্জরিত রয়েছে। ফলে সাধারন জনগন ও গরিব রোগীরা কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গরীব অসহায় মানুষগুলী বুকভড়া আশা নিয়ে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। সঠিক স্বাস্থ্য সেবা না পেয়ে হতাশ হয়ে কান্না চোখে বেড়িয়ে যায়।

ধোবাউড়া হাসপাতালে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রসূতি মায়েদের কোন অপারেশন হয় না,নেই কোন সুরক্ষিত অপারেশন থিয়েটার,সিজার করানো তো দূরের কথা। প্রসূতি মহিলারা প্রসব ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে আসা মাত্রই কর্তব্যরত ডাক্তার বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাটিয়ে দেয়। রেফার্ড করা রোগীগুলো সময়মত ময়মনসিংহ মেডিকেলে যেতে পারছে না। কারন দীর্ঘদিন যাবৎ ধোবাউড়া হাসপাতালে কোন এম্ভুলেন্স নেই। যেগুলো আছে তা নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে হাসপাতালের সামনে।অসহায় রোগীরা অন্যস্থান থেকে এম্ভুলেন্স ভাড়া করার মত আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় মুত্যুর মতো ঝুকি নিয়ে কাছের ক্লিনিকগুলোতে সিজার করছে।

এ্যাম্ভুলেন্স না থাকায় রেফর্ড করা প্রায় মহিলাদের রাস্তায় প্রসব হওয়ার মতো অনেক ঘটনা ঘটছে। স্টোক করার মারাত্বক ঝুকির মধ্যে রয়েছে যার প্রায় মানুষকে অল্প সময়ের মধ্যে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন হয়। সময় মত হাসপাতাল থেকে স্ট্রোকের রেফার্ড করা রোগী সময়মত অন্যত্র নিতে না পারায় হাসপালে মৃত্যুর মত ঘটনা ঘটছে। কান্নায় ভারী হচ্ছে হাসপাতালের পরিবেশ। হাসপাতালের ভিতরে রক্ত পরিক্ষার জন্য ল্যাব রয়েছে কিন্তু এই ল্যাবে রক্ত পরিক্ষা করাতে কেউ আসে না ।

এ ব্যাপারে ল্যাবের দায়িত্বে থাকা তানভির আহম্মেদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সারাদিনে রক্ত পরিক্ষার জন্য কেউ আসে নি। যদি আসে তাহলে আমি রক্ত পরিক্ষা করবো। আমার এখানে রক্ত পরিক্ষার জন্য ৮ টি ক্যাটাগরি রয়েছে। খবর নিয়ে জানা যায়, কোন ডাক্তার পাসপাতালে ল্যাবে রক্ত পরিক্ষার জন্য কোন রোগীকে পাঠায়না বাহিরে ক্লিনিকে পাটিয়ে দেয়। ক্লিনিকগুলো থেকে একটা অংশ ডাক্তারের পকেটে চলে আসে। ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে রুম থাকলেও নেই কোন কার্যক্রম। প্রায় ৩ বছর যাবত এক্সরে রুমটি তালাবদ্ধ। এই রুমের দায়িত্বে থাকা মোঃ নাছির উদ্দিন প্রায় ২ বছর কোন কাজ না করেও সরকারী বেতন উত্তোলন করছে।

এ ব্যাপারে মোঃ নাছির উদ্দিনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ২ বছর যাবত এক্সরে মেশিন নষ্ট আর এতে আমার কিছু কারার নেই,। হাসপাতালে স্টোর কিপার ১ জন নেই, প্যাথলজি সহকারী ১ জন নেই,পরিচন্নতা কর্মী ৫ জননেই, ফার্মাসিস্ট ২জন নেই,ওয়ার্ড বয় ২ জন নেই, অফিস সহকারী ৩ জন নেই, আয়া ১ জন নেই,বাগান পরিচন্নতাকর্মী নেই সহ প্রায় ১৫-১৮পদে জনবল নেই। একেক জন লোক একাদিক দায়িত্ব পালন করছে। পরিচন্নতাকর্মী না থাকায় হাসপাতালে ময়লার দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরেছে।এতে রোগীরা আরো রোগী হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) ডা: গৌরভ মিত্র প্লাবণ বলেন,৮ টি ক্যাটাগরি রক্ত পরিক্ষার ব্যাবস্থা থাকলেও এনালাইজার না থাকায় আমরা তা করতে পারছি না। হাসপাতালে আরো অনেক সমস্যা রয়েছে,সমস্যাগুলো লিখিত ভাবে উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।