গাজীপুরে কলেজ ছাত্রীকে হত্যা : গ্রেপ্তার সাইদুল তিন দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : গাজীপুর মহানগরের সালনা এলাকায় বাসায় ঢুকে কলেজ ছাত্রী রাবেয়া আক্তারকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রাইভেট শিক্ষক সাইদুল ইসলামকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে গাজীপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নিয়াজ মখদুম রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতের প্রসিকিউটর সহকারী কমিশনার আহসানুল হক জানান, গাজীপুর সদর থানা পুলিশ সাইদুল ইসলামকে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে গাজীপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের বিচারক নিয়াজ মখদুম তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাকে আদালত থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাজীপুর সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। র‍্যাব হত্যাকাণ্ডে জড়িত গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-১–এর একটি আভিযানিক দল টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের প্রধান ও একমাত্র আসামি সাইদুল ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার সাইদুল ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার মহেশতারা গ্রামের বাসিন্দা।

নিহত হলেন, গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিন সালনা এলাকার আবদুর রউফের মেয়ে রাবেয়া আক্তার ( ২১)।

গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম জানান, কুমিল্লার হোমনার শ্রীমদ্দি এলাকার বাসিন্দা আবদুর রউফ সালনা বাজারে একটি শোরুমে চাকরি করেন। সেখানেই সপরিবার বসবাস করেন। ছোট দুই মেয়েকে কোরআন শিক্ষার জন্য সাইদুল ইসলামকে হাউস টিউটর হিসেবে নিয়োগ করেন আবদুর রউফ। সাইদুল রাবেয়াকে বিয়ে করার জন্য তাঁর পরিবারের কাছে প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। বিয়ের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে সাইদুল রাবেয়াকে বিভিন্নভাবে বিয়ে করার জন্য চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সাইদুলকে বাসায় এসে পড়ানোর জন্য নিষেধ করে দেওয়া হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সাইদুল সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বাসায় প্রবেশ করে রাবেয়াকে ছুরি দিয়ে মাথা, গলা, হাত ও পায়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। তাঁর চিৎকারে মা ও দুই বোন দৌড়ে রাবেয়া আক্তারের ঘরে গিয়ে দেখেন, সাইদুল ছুরি দিয়ে তখনো রাবেয়াকে ছুরিকাঘাত করছেন। এ সময় বাধা দিলে ছুরি দিয়ে তিনি অন্যদেরও আঘাত করে পালিয়ে যান সাইদুল।

রাবেয়ার বাবা আবদুর রউফ বলেন, ‘সাইদুল আমাদের গৃহশিক্ষক ছিল। ছোট দুই মেয়েকে সে কোরআন পড়াত। সে আমার বড় মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে আমরা সরাসরি না করে দিই। যার কারণেই সে বাড়িতে ঢুকে আমার মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’